আজ, সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি রয়েছে শহরে। সেখানে ছাত্রছাত্রী তথা দলের তরুণ প্রজন্🔴মকে আগামীর বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার মেয়ো রোডে আয়োজিত সমাবেশে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে এখন সকাল থেকে যানজট–মুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়বে। তার জেরে ট্রাফিক জ্যাম হতে পারে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুত রয়েছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা।
এদিকে প্রত্যেক বছর ২৮ অগস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত༒্রছাত্রী–সহ লক্ষাধিক জমায়েতের টার্গেট নিয়েছেন শাসকদলের সংগঠকরা। মেয়ো রোডকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন এবং দলীয় পতাকা দিয়ে। তাই এখানে যানজ🎶ট হতে পারে বলে মনে করছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। তাঁরা এদিন জানান, ডাফরিন রোড, রানি রাসমনি রোড থেকে শুরু করে ধর্মতলা পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তায় পাঠানোর এখনও কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে যদি দেখা যায় এই মেয়ো রোড এবং সংলগ্ন রাস্তায় ভিড় বাড়ছে আর তার জেরে যানজট তৈরি হচ্ছে তখন বিকল্প পথ ধরে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। যদিও আজকে অনেকগুলি মিটিং–মিছিল আছে। তার জেরে শহরের রাজপথে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ মেয়ো 🐠রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা, বিজেপি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে দত্তপুকুর যাবে। ফলে তাঁদের বিধায়করা রাস্তায় নামবেন। আবার কংগ্রেসের আজকে মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি রয়েছে। সব মিলিয়ে রাস্তার উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করল পুলিশ, কেমন করে চলত অবৈধ কার🌄বার?
যদিও এটা মোকাবিলা করা কোনও বড় ব্যাপার নয় বলে জানাচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দফতর। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে গঠন হয়েছে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে ছাত্র–যুবরা বড় ভূমিকা নিতে চলেছে।🃏 তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাস্থলে ইন্ডিয়া জোট নিয়েও পোস্টার, হোর্ডিং থাকছে। আর কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদও প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে মহাজাতি সদনে। অধীর চৌধুরী, কানহাইহা কুমার–সহ শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তাই পথের পরিস্থিতি যদি চাপের হয় তাহলে ধর্মতলা উড়ালপুলে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। আবার রাজভবনের দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাহলে যানজট হবে না। তাছাড়া মেট্রো পথ তো সকাল থেকেই খোলা থাকছে।