ধর্মতলায় মাল্টি মোডাল পরিবহণ হাব। এর ফলে একদিকে যেমন দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে। তেমনি ধর্মতলা থেকে দূষণে ভরপুর বা🍸স টার্মিনাসকে উন্নত করা যাবে। সেই নিরিখে এবার বড় পদক্ষেপ। তবে সেই সমীক্ষা করার জন্য় স্বাভাবিকভাবেই সেনার অনুমতির প্রয়োজন ছিল। আর সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেই সেই সংক্রান্ত বিধি মেনে ড্রোন সমীক্ষা করেছে রাইটস। গত মাসেই তারা সেনার কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল ড্রোন দিয়ে সমীক্ষা। সেই অনুসারে এবার সেই ড্রোন সমীক্ষাও শেষ হয়েছে। এরপর সেই ড্রোন সমীক্ষার ভিত্তিতে রিপোর্ট জমা পড়বে রাজ্য সরকারের কাছে।
আপডেশন অফ মাল্টি মোডাল ট্রান্সপোর্ট মাস্টার প্ল্যান ফর এসপ্ল্যানেড এরিয়া ইন কলকাতা। এই প্রকল্পটিকে ঘিরে দিনের পর দিন ধরে নানা আলোচনা, না﷽না চর্চা হয়েছে। এনিয়ে আইনি জটিলতাও কম কিছু হয়নি। সেই বাম আমল থেকেই এনিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছে।
২০০৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৬ মাসের মধ্য়ে বাস টার্মিনাস ধর্মতলা থেকে সরাতে হবে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশকেই কার্যত ব♌হাল রাখে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির বিশেষ কিছু উন্নতি হয়নি।
এরপর বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরানো নিয়ে নানা কথা হয়েছে। সাঁতরাগাছিতে সরানো নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু সেসব শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর ভূগর্ভস্থ বাস টার্মিনাস করার ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর মাল্টি মোডাল পরিবহণ হাব তৈরি নিয়ে নয়া উদ্য🌞োগ। তবে শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হয় সেটাই এখন দেখার।
তবে সূত্রের খবর, রাইটস থেকে রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই বিভিন্ন মহলের সঙ্গ𒆙ে বৈঠকে বসতে পারে রাজ্য সরকার। মাল্টি মোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব তৈরি হলে শুধু বাস নয়, নানা ধরনের যানবাহন এই ধর্মতলা থেকে পাওয়া যাবে। এনিয়ে কমিটিও তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ, পূর্ত, বিদ্যুৎ সহ একাধিক দফতরের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। রাইটস সংস্থার হাতে এর সমীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল🅷। সেই মতো কাজ এবার অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর।