দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হলেও রফাসূত্র সেই অধরা। আজ, শুক্রবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় পরিবহণমন্ত্রীর। কিন্তু সেখানে বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলায় চাপে পড়ে যান বাস মালিকরা। কারণ তাঁরা আশা করেছিলেন এবার বাড়বে বাস ভাড়া। উলটে আজ তাঁদের জা♓নিয়ে দেওয়া হয়,🐽 ২০১৮ সালের ভাড়া নিয়েই বাস চালাতে হবে মালিকদের। এমনকী বাসের মধ্যে ভাড়ার তালিকা টাঙাতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য। এই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হল, বেসরকারি বাসে ন্যূনতম ৭ টাকা এবং মিনিবাসে নไ্যূনতম ৮ টাকাই༒ ভাড়া নিতে হবে। তখন বাস মালিকরা পাল্টা রাজ্যকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। সাধারণ বাসে ৫০.৭৪ শতাংশ এবং মিনিবাসে ৪৪ শতাংশ ভাড়া না বাড়ালে তিন সপ্তাহ পর রাস্তা থেকে বাস তুলে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই টানাপোড়েন পরিস্থিতিতে নিজস্ব অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শুক্রবার বেসরকারি গণ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ ফোরামের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এখানেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়ে ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিতে হবে বেসরকারি বাসে। আর তাতে রাজি নন বাস মালিকরা। বাসে উঠলেই এখন ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী🌄দের থেকে। আবার ধাপ অনুযায়ী ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ পেয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী বেসরকারি বাসে ৭ টাকা এবং মিনি বাসে ন্যূনতম ৮ টাকা করে ভাড়া নিতে হবে।
ঠিক কী বলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী? এই টানাপোড়েনেꩲর মধ্যে কোনও সমাধান সূত্র এখনও বেরিয়ে এল না। গোটা বিষয়টি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ব🐬লেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে দেখতে পান কোন রুটে বাস ভাড়া কত, তার জন্য বাসে রেট চার্ট ঝোলাতে হবে। আদালতের যা নির্দেশ সেই মতো ২০১৮ সালের রেট চার্ট মেনেই আমরা নোটিফিকেশন করেছি।’ যাত্রী সাধারণের কথা ভেবে তাঁদের ঘাড়ে কোনও বোঝা চাপিয়ে দিতে চাননি পরিবহণ মন্ত্রী। কিন্তু জ্বালানির দাম বেড়েছে বলে সাফাই দিয়েছেন বাস মালিকরা। তাই ভাড়া না বাড়লে বাস তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়।