গত শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে♔র ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার ♕জন্য বেআইনিভাবে বিদ্যুতের সংযোগ টানাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রকোপে ওই দি🎃ন বিকেল থেকেই কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। সেই সময়েই শহরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় সৌরভ কুমার গুপ্তা নামে বছর পঁচিশের এক যুবকের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, সৌরভ আদতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ♑ের বাসিন্দা। সেখানেই একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে তাঁর বাবার একটি ভুজিয়ার দোকান রয়েছে।
সম্প্রতি সৌরভের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে🌳ন। এরপর বাবাকে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে নিয়েই বাবার দোকান চালাতে শুরু ক💜রেন সৌরভ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন-রাত ওই দোকানেই থাকতেন তিনি।
শুক্রবার যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তার ঠিক আগেই দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন সৌরভ। ফেরার পথে ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলেন। সেই সময় পাশের একটি আবাসনের লো𒁏হ🐻ার রেলিংয়ে তাঁর হাত লেগে যায়।
সঙ্গে♑ সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জমা জলে ছিটকে পড়েন সৌরভ। তাঁর চিৎকারে আরও দুই যুবক দৌড়ে༒ তাঁকে বাঁচাতে যান। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, সৌরভ বুঝতে পেরেছিলেন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।
তাই বাকিরা তাঁর দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ඣতিনি তাঁদের কাছে আসতে বারণ করেন। নিজের মৃত্যু অবধারিত বুঝেও অন্যদের বলেন, 'তোরা কাছে আছিস না। মরে যাবি।'
প্রত্যক൩্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই আবাসনের গায়েই এক চিকিৎসকের নাম-সহ তাঁর চেম্বারের বিবরণ লেখা একটি বোর্ড ছিল। সেই বোর্ডেই ছিল বিদ্যুতের সংযোগ এবং খোলা তার! যার জেরে আবাসনের রেলিং ছোঁওয়া মাত্রই সৌরভ বিদ্যুৎস্পষ্ট হন।
অভিযোগ, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে মেন সু𒁏ইচ বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি বলেন, মেন সুইচ কোথায় তা তাঁর জানা নেই। কারণ তিনি নতুন এসেছেন!
প্রত্যক্ষদর্শীদের আরও অ🀅ভিযোগ, প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় এভাবেই নষ্ট হয়।๊ সকলের চোখের সামনে জমা জলে ছটফট করতে করতে সৌরভের মৃত্যু হয়।
শনিবার দুপুরে সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের বক্তব্য, চিকিৎসকের যে বোর্ডে বিদ্য়ুতের সংযোগের জন্য যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তাতে কোনও হুকি♑ং ছিল না। ত⭕বে, মিটার বক্স থেকে সোজা তার টেনে তাতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
মৃত সৌরভের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় সুবিচার চেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন - এভাবে মিটার বক্স থেকে তার টেনে ও🐼ই বোর༒্ডে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হল কেন? এই প্রক্রিয়া কি আদৌ বৈধ?
তাছাড়া, নিরাপত্তাকর্মী কাজে নতুন যোগ দিলেও কেন তিনি 💯জানবেন না, কোথায় আবাসনের মেন সুইচ আছে? এই অজুহাত কি আদৌ গ্রহণযোগ্য🌠?
মৃতের পরিবারের বক্তব্য, যদি এমন উদাসীন♍ভাবে তার টেনে তা খোলা না রাখা হত, অথবা যদি নিরাপত্তাকর্মী সঙ্গে সঙ্গে মেন সꦫুইচ বন্ধ করতেন,তাহলে হয়তো এভাবে অকালে জীবন দিতে হত না সৌরভকে!
এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে স্থানীয় থানা। সিইএসসি জানিয়েছে, তারা তাদের রিপোর্ট 🅷সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে, কলকাতা পুরনিগমের তরফে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ওই তার বেআইনিভাবে মিটার বক্স থেকে টানা হয়েছিল।