কলকাতা পুরনিগমের কো–অর্ডিনেটর সন্তোষ পাঠক অত্যন্ত পরিচিত।তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেই যুক্ত।কিন্তু বিহারে নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এখন আটকে পড়েছেন।পশ্চিমবঙ্গের মতো সেখানেও বিধিনিষেধ চালু হওয়ায় আটকে পড়েছেন তিনি।কিন্তু সেখানেও তিনি বসে নেই।শুরু করে 🍌দিয়েছেন চাষের কাজ।শহরের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হলেও গ্রামেও যে তিনি সমানভাবে সাবলীল সেটাই হাতে কলমে প্রমাণ করে দিলেন তিনি।
২০০৫ সাল থেকে কলকাতা পুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক।করোনা মহামারীর কারণে ভোট প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ায় এলাকার কো–অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাঁকে।এবারের বিধানসভা ভোটেও চৌরঙ্গী কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।কিন্তু পরাজিত হন।এরপরই নিজের নিকট আত্মীয়🃏ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিহারের বক্সারে নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে যান তিনি।সেখানে কিছুদিন ছিলেন।কিন্তু এরইমধ্যে বিহারেও কড়া বিধিনিষেধ চালু হয়ে যায়।ফলে সেখানে আটকে পড়েন তিনি।কিন্তু চুপ করে বসে থাকার পাত্র তিনি নন।গ্রামের বাড়িতে বসে না থেকে চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি। চাষের জমিতে বীজ ছড়ানো, ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা, কখনও আবার জেসিবি মেশিন দিয়ে চাষের আনুষাঙ্গিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।ইতিমধ্যে বিহার সরকার বিধিনিষেধের সময়সীমা ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।ফলে কবে যে ফের কলকাতায় ফিরতে পারবেন তা কিন্তু জানেন না এই জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি।
তবে গ্রামের বাড়িতে থেকেও কলকাতায় তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন সন্তোষ পাঠক।এরইমধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে নেট মাধ্যমে তাঁর চাষের কাজের কিছু ছবি পাঠিয়েছে❀ন তিনি, যা দেখে আপ্লুত শহর কলকাতায় তাঁর অসংখ্য অনুগামীরাও।তাঁরা জানিয়েছেন, আসলে মাটির কাছাকাছি থাকতেই বেশি ভালোবাসেন তাঁদের সন্তোষদা।অন্য রাজ্যে গিয়েই মিশে গিয়েছেন মাটির সঙ্গে। কোনও নেতাসুলভ ভাব নেই।