দেখতে দেখতে পুজোর চারটে দিন কেটে যেতে চলল। এবার মাকে বিদায় জানানোর পালা। বিসর্জনের ঢাক বাজছে পাড়ায় পাড়ায়। সিঁদুর খেলা, দেবীকে বরণ করার পালা চꦛলছে শহর থেকে গ্রামে। এরপর দেবী দুর্গাকে নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তবে দশমী হলেও কলকাতার বিগ বাজেটের পুজোগুলিতে এদিনই বিসর্জন হবে না। তবে বাড়ির পুজো, আবাসনের পুজো, বারোয়ারী পুজোগুলিতে ঠাকুর ভাসান হবে এদিনই।
তবে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনওভাবেই ডিজে বাজানো যাবে না। এনিয়ে একেবারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার ২৩৮টি পয়েন্টে কড়া নজর রাখবেন পুলিশ আধিকারিকরা। এসি পদমর্যাদার আধিকারিকরাও রাস্তায় নজরদারিতে থাকবেন সংশ্লিষ্ট টিমকে নিয়ে। পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে কোথাও যাতে ডিজে বাজানো হয় তবে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজে বাজানো হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পুজোর♔ কর্তারা গ্রেফতারও হতে পারেন।𓂃 সেক্ষেত্রে এক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধান।
রবীন্দ্র সরণী, বিবেকানন্দ রোড, নিমতলা ঘাট স্ট্💃রিট, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, গড়িয়꧂াহাট মোড় সহ কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একেবারে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে কলকাতার ঘাটগুলিতে বিসর্জন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৮টি ঘাটে বিসর্জন হয়। লেক ও অন্যান্য জলাশয় মিলিয়ে ৪০টি জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন হয়। কলকಌাতার জলপুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা হাওড়ার দিকের ঘাটগুলিতেও নজর রাখবে। লাইফ সেভিং বোট থাকছে ১৮টি। বি𝔍পর্যয় মোকাবিলার বিশেষ টিম থাকছে ঘাটে।
একাধিক ঘাটে ওয়াচ টাওয়ারও থাকছে। পুলিশ🃏ের পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত টিম সবসময় নজর রাখবেন।
একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় ঠাকুর বিসর্জনের সময় জলে নেমে পড়েন অনেকে। এতে বড় বিপদ হতে পারে।😼 ভেসে যেতে পারেন গঙ্গার জলে। সেকারণে কড়া সুর🐟ক্ষার ব্যবস্থা। বাজেকদমতলা, নিমতলা বিচালিঘাট ও গোয়ালিয়র ঘাটে বোট থাকছে। ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে থাকছে সিসি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলবে। আলোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধারকারী টিমকে রেডি রাখা হচ্ছে। ডুবুরিও থাকছে। কোথাও সমস্যা হলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন তাঁরা।