গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বুধবার শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্🎉যায়। সেখানে গিয়ে পাঞ্জাবিদের সঙ্গে নিজের পরিবারের যোগের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর বুধবার রাতে সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাঞ্জাবি ভাষা তিনি ভালই বোঝেন। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিনকে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত শিখ সম্প্রদায়ের কর্মীদের জন্য এই সুখবর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদ🧔িকে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিনে শিখ সম্প্রদায়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়। তাঁর কথায়, ‘আমি এই ভাষা বুঝতে পারি। ধীরে বলতেও শিখছি। আমাদের বাড়িতে পাঞ্জাবি স্ত্রী আছে। এক তো অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। তাই আপনারা আমাদের পরিবারের সদস্য। আর একজনও আমাদের বাড়িতে আছে। আমি হালুয়া আপনাদের পছন্দ করি। আজ খেয়ে যাব। রুজিরা আসে এখানে লঙ্গরে। ওঁর সন্তানও আসে। ওঁ তো রোজ গ্রন্থসাহিব পড়ে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে আনন্দিত হন তাঁরা।
অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানে এসে খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাই তিনি বলেন, ‘রুজিরা খুব ভাল। ওর ছেলে মেয়েদের গ্💎রন্থসাহিব মুখস্থ। আপনাদের বললাম আপনারা আমাদের পরিবারের সদস্য। পরিবারের আরও একটা বিয়ে হয়েছে কয়েকদিন আগে। সেটাও এক পাঞ্জাবি মেয়ের সঙ্গে হয়েছে। আমি খুব খুশি যে আপনাদের পরিবার আমারই পরিবার হয়ে গিয়েছে।’ তারপরই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে পাঞ্জাবিদের খুব পছন্দ করেন, সে কথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ভবিষ্যতে কোনও একদিন সকলের সঙ্গে বসে লঙ্গর করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন জননেত্রী।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নিষ্ক্রিয়𝔉 আইপ্যাক, রাশ হাতে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন স্বর্ণমন্দিরের ধাঁচে রেল স্টেশন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। নয়াদিল্লিতে গুরদ্বারের বাইরে পার্কিং সমস্যারও সমাধান করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামে শিখ সম্প্রদায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁরা বেশি প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা বাঙালি ও পাঞ্জাবি। আমি আন্দামানে গিয়ে দেখেছি। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে জাতীয় সঙ্গীত, বাংলা আর পাঞ্জাবের মধ্যে একটা সেতু রচিত হয়েছে। কোমরে চোটের কারণে আমি মাটিতে বসতে পারি না। তবে সকলের অনুমতি নিয়ে আমি চেয়ারে বসে লঙ্গরে অংশ নিচ্ছি। আসলে অনেক আঘাত করা হয়েছে আমাকে।’ আসলে মনে করিয়ে দেন ব♐াম জমানায় তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা।