যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় অবস্থা💦। এই নিয়ে বিজেপির ‘যাদবপুর বাঁচাও’ মিছিল করেছিল কয়েকদিন আগে। সেখান থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে উত্তাল বাংলা। এবার এই ইস্যুতে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে মুখ খুললে🔴ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় জড়িতদের এবার গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে ‘যাদবপুর বাঁচাও’ কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি যুব মোর্চা গোলপার্ক থেকে যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’, ‘জুতো মারো’ স্লোগানও ওঠে। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে জুতো উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তখন পু☂লিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা অশান্তি করেন না। অশান্তি করে ‘গোলি মারো’র লোকজন। একদিকে গেরুয়া, অন্যদিকে লাল।’
অন্যদিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ এটা ছাত্র পরিষদের সভা। এই বিষয়ে সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা করতে পারেন তা হলে আমি জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দেব।’ ২০১৭ সালে শেষবার রাজ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তারপর যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতীর মতো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হলেও সেগুলি সম্পূর্ণ💦 ছিল না। এবার গোটা রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘নির্ౠবাচিত সরকারের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না’, রাজ্যপালকে নিশানা মমতার
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন সভা থেকে পুলিশকে কড়া বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে সুর চড়ান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গোলি মারো বলছে। দিল্লি করবে ভেবেছে। দেখি কত বড় সাহস। মার গোলি। পুলিশকে বলেছি সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। যারা এই স্লোগান দিয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি লালে লাল হয়েছে। গণ্ডগোল করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিচ্ছি যে ছাত্র যেখানে পড়ে, সেখানে কলেজ করবে। বাইরের কেউ যেন গুণ্ডামি করতে না পারে। গোলি মারার অধিকার কারও নেই। ব💯িজেপি, স💦িপিএম, কংগ্রেস এখানে এক হয়ে কা–কা করে ডাকছে।’