মঙ্গলাহাটের জমিটি💖 ব্যক্তিগত মালিকাধীন। তাই এই জমি যাদের হাতে রয়েছে তাদের ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর। একদিন আগেই সেখানে ঘুরে এসেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে তিনি আশ্বাস দেন ব্যবসায়ীদের, আগামী সোমবার খুলে দেওয়া হবে মঙ্গলাহাট। তবে ধাপে ধাপে। এই পরিস্থিতিতে সুর সপ্তমে চড়িয়ে মঙ্গলাহাট নিয়ে অপপ্রচারের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে যেখানে নবান্ন তৈ꧅রি হয়েছে ওই ভবনে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দেওয়া যায়নি। এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ত൩বে এটা একটা অপপ্রচার চলছে বলে নাম না করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্যের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তিনি জানান, দরকার পড়লে জমি অধিগ্রহণ করে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কয়েকদিন আগেই বিধ্বংসী আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় মঙ্গলাহাটের দোকানপাট। তারপর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনীতি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাই বিকেলে সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেন পাশে থ🌼াকার এবং ঋণ পর্যন্ত দেওয়ার। আর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মঙ্গলাহাট নিয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করছেন। নবান্ন জমি কেড়ে নিচ্ছে। এটা ভুল তথ্য। ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছিল এখানে আসতে। তাঁরা আসেননি। এটা ব্যক্তিগত মালিকাধীন জমি। যাঁদের জমি তাঁরা বেঁচে দিয়েছেন। সেটা নিয়ে মামলা চলছে। মুখ্যসচিবও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যাঁদের জমি তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। দরকার পড়লে আমরা অধিগ্রহণ করব। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের ব্যবসার জন্য রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে লোনের ব্যবস্থা করবে।’
আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধবাবুর শꦡারীরিক অবস্থা কেমন আছে? রাতে দেওয়া হল ফিজিয়োথেরাপি
আর কী জানা যাচ্ছে? গত মঙ্গলবার মঙ্গলাহাটে গিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘আজ যে নবান্ন দেখছেন, সেটা কোনও নবান্ন ছিল না। ১৪ তলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টুডিও বানিয়েছে। আমরা অন্য কোথাও সরব না। ওনাকে ১৪ তলা থেকে সরতে হবে।’ এই অভিযোগের পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, ‘মঙ্গলাহাট নিয়ে 🦩অনেকে রাজনীতি করছেন। অপপ্রচার চলছে যে, যে বহুতলে নবান্ন হয়েছে, সেটি না কি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু নবান্ন হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে আনা যায়নি। বিষয়টা কিন্তু তা নয়। মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা সেখানে আসেননি। ফলে বহুতলটি খালি পড়ে ছিল। তারপর সেখানে নবান্ন হয়েছে। জোর করে করিনি।’