বাইপ্যাপ সাপোর্টে আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আগের থেকে এখন অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। আজ, মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বুদ্ধদেববাবুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। এবার ঠিক করা হবে নতুন করে আর কোনও পরীক্ষা করা হবে কি না। যদিও এই স্থিতিশীলতার পরেও বুদ্ধবাবুকে সংকটমুক্ত বলছেন না চিকিৎসকরা। তিনি সাড়া দিচ্ছেন চিকিৎসায়। রাতে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। গতকালই তা🅷ঁর বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। সে রিপোর্টও ভাল। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করেছে। ভেন্টিলেশন থেকে বের হবার পর এখন সম্পূর্ণ সচেতন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বারবার বাইপ্যাপ সাপোর্ট খুলে ফেলতে চাইছেন বুদ্ধবাবু।
এদিকে তাঁকে অনেক বুঝিয়ে বাইপ্যাপ সাপোর্ট লাগানো রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হব🗹ে। তার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যাতে নিজে থেকে নিঃশ্বাস–প্রশ্বাস নিতে পারেন তাই তাঁকে পালমোনারি ফিজিয়োথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায় তার জন্য তাঁকে ইনস্যুলিনও দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে নন–ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও পরে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তারপর সেখান থেকে 𝓡বের করে আনা হয়।
অন্যদিকে রাত পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। বেশি রাতে তাঁকে🎐 পালমোনারি ফিজিয়োথেরাপি দেওয়া হয়েছে। তার জেরে তিনি নিজে থেকে নিঃশ্বাস–প্রশ্বাস নিতে পারবেন। তবে মাঝেমধ্যে তাঁকে ‘নন–ইনভেসিভ বাইপ্যাপ সাপোর্ট’ দেওয়া হচ্ছে। বুদ্ধবাবুর সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বলে সূত্রের খবর। নেবুলাইজার এবং ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি চোখ মেলে তাকাচ্ছেন এবং কথা বলতে পারছেন খুব কম। তবে ইশারায় সবဣই বলছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখ্♔যমন্ত্রীর সঙ্গে 🤡কোন বিজেপি বিধায়করা আলাদা দেখা করলেন? বিধানসভায় গুঞ্জন
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ স্বাভাবিক, পালস রেটও স্বাভাবিক। তবে স্টেরয়েড দেওয়ার জেরে প্রথমে সুগার কিছুটা বেড়েছিল। তবে পরে সেটা ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়েছে। সবমিলিয়ে আগের থেকে ভাল হচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থা। তবে আজ মেডিকেল বোর্ডের বুলেটিনে সবটা পরিষ্কার হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে হাত নেড়🤡েছেন আগেই। ফলে তাঁর সুস্থতা এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর যে পরিমাণ সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সেখান থেকে এখন তার পরিমাণ ক্রমশ কমছে।