এখন বিধানসভার বাদল অধিবেশন চলছে। নানা ইস্যুতে শাসক–বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি বিধায়করা আক্রমণ করছেন অধিবেশন কক্ষে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা চড়া সুরে জবাব দিচ্ছেন। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। এমনকী সামনাসামনি মুখ্যমন্൲ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার নজিরবিহীন বাকযুদ্ধ পর্যন্ত দেখা দিয়েছে। তারপর বিরোধীদের হই–হট্টগোল থেকে ওয়াকআউট—সবই প্রকাশ্যে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে দেখা করলেন𒈔। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন। তাতেই নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিধানসভা🧔র অধিবেশন কক্ষেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে গিয়ে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওঁরাও দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপর একে একে কয়েকজন বিধায়ক গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন। তারপরই বিধানসভার অলিন্দে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীকে অধিবেꦚশন কক্ষে মণিপুর ইস্যু আলোচনা করা বেআইনি বলে সোচ্চার হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা খুন করেছে বলে সরব হন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ডোন্ট টক রাবিশ। দু’দিন বিজেপিতে গিয়ে আমাকে জ্ঞান দেবেন না। হরিদাস পাল!
অন্যদিকে তার পর এই বিজেপি বিধায়কদের পৃথক দেখা করা নানা জল্পনার জন্ম দিয়েছে। যদিও ওই বিজেপি বিধায়কদের দাবি, এলাকার রাস্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত একট♈ি চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজ মুখেই জানিয়েছিলেন কোনও সমস্যা থাকলে জানাবেন। তাই তাঁকে জানিয়েছি।’ একইসঙ্গে বি🅰জেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওঁরাও এলাকার সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাঁকেও চিঠি লিখে জানাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এলাকার কোনও সমস্যা থাকলে জানান। কিন্তু আর বাকি যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের বিষয়টি জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে মৃত্যু হল দু’জন রোগীর, বর্ধমানের ঘটনায় ন𝓡তুন করে জাগল আতঙ্ক
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদেরও নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তাঁদের তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। এখানে কোনও অবস্থাতেই অশান্তি, গণ্ডগোল যেন না হয়। তাছাড়া অশোকনগরে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল🥂ে ডিজিটাল এক্সরে, সিটি স্ক্যান, আইসিসিইউ ইউনিটের অভাব আছে। মানুষের স্বার্তে সেগুলি যাতে দ্রুত চালু করা যায়, সেটা দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে। আগামী ৪ অগস্ট পর্যন্ত বিধানসভার চলতি অধিবেশন চলবে। তারপর আবার ২২ অগস্ট থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে।