🍨 আলু নিয়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে আলু এখন অমিল। যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে এক কিলো আলু কিনতেই নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন আলু ব্য়বসায়ীরা। বাজারে তাই জোগান নিয়ে টানাটানি চলছে। জোগান না বাড়লে রীতিমতো অগ্নিমূল্য় হতে পারে আলু বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। তবে আজকের ধর্মঘটে সামিল হননি সিঙ্গুর ও হরিপালের আলু ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলু নিয়ে কড়া নির্দেশ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
🦹অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার কথা কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী এই ধর্মঘটের জেরে বাজারে কিছুটা টান পড়েছে আলুর। তাই আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই চাপে পড়েছেন মধ্যবিত্ত মানুষজন। এই আবহে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আলু নিয়ে যেন কোনও ‘ক্রাইসিস’ না হয়। মানুষ যেন বাজারে গিয়ে বিপদে না পড়েন। সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।’ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মু্খ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যখন আলুর দাম কমাতে তত্পর রাজ্য সরকার, তখন অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁদের অভিযোগ, কোনও লিখিত নির্দেশ মেলেনি। কিন্তু বাজারে জোগান বাড়িয়ে দাম কমাতে, ভিনরাজ্যে আলু পাঠাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 🌟লকার ভেঙে সোনা–গয়না লুঠ, গৃহস্থের নববধূর উদ্দেশে চিঠি লিখল চোর জলপাইগুড়িতে
ಞসোমবার কলকাতার বাজারগুলিতে জ্যোতি আলুর দাম ৩৪–৩৫ টাকা এবং চন্দ্রমুখী ৩৮–৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার আলু প্রতি ক্ষেত্রেই কিলো দরে অনেকটাই বেড়েছে। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে যে আলু মজুত আছে, সেই আলু এবার চড়া দামে বিক্রি করা হবে। তাতে বিপাকে পড়বেন ক্রেতারা। এই আবহে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলুর মূল্যবৃদ্ধি এবং জোগানে সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘আলু নিয়ে যাতে কোনও ক্রাইসিস না হয়। যতক্ষণ না দাম কমছে ততক্ষণ ভিনরাজ্য়ে আলু রফতানি করা যাবে না।’
ꦫএছাড়া ব্যবসায়ীরা আলু নিয়ে বলছেন, বাজারে জোগানের অভাবে ইতিমধ্যেই আলুর দাম বস্তা (৫০কিলো) পিছু গড়ে ১৫০–২০০ টাকা বেড়েছে। এক বস্তা আলুর দাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। সঙ্গে জমি থেকে আলু হিমঘর এবং হিমঘর থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা অতিরিক্ত লাগছে। রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বাজারে ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করে একটা রাস্তা বেরোবে।’ দাম আরও বাড়লে সেটা আর সাধারণের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।