আধুনিক সময়ে এꦅশিয়ার ইতিহাসে যে ক'টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ঘটনা𝓰 ঘটেছে, তার মধ্যে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিঃসন্দেহে অন্যতম।
সেই সময়ে তৎকালীন পূরꦏ্ব পাকি🍌স্তানের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত সরকার। ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের বীর যোদ্ধাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। যার জেরে শেষমেশ প্রবলভাবে পরাজিত হতে হয় পশ্চিম পাকিস্তানকে (বর্তমান পাকিস্তান)।
অন্যদিকে, পশ্চিমের শাসক তথা শোষকদের গ্রাস থেকে মুক্তি লাভ করে গঠিত হয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। যা ভারত-সহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য এক🃏া যুগান্তকারী ঘটনা।
১৯৭১ সালের এই যুদ্ধের ঠিক আগেই ঘটেছিল গরিবপুরের সংঘর্ষ। যা সুপরিচিত 'ব্যাটেল অফ গরিবপুর' নামে। আসলে গরিবপ🍎ুর নামে একটি গ্রাম ছিল। সেই গ্রামের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বেঁধেছিল সংঘর্ষ। বর্তমানে সেই গরিবপুর গ্রামের অবস্থান বাংলাদেশে।
১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর। তখনও পাকিস্তান প্রশাসনের অধীনস্ত এই গর🥀িবপুর গ্রাম। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পঞ্জাব রেজিমেন্টের ১৪তম ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা ১৪টি পিটি-৭৬ ট্যাঙ্ক গরিবপুরের দিকে এগোতে শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল, গরিবপুর ও তার আশপাশের এলাকা থ෴েকে পাকিস্তানের অধিকার হটিয়ে নিজেদের সেখানে মোতায়েন করা।
এর কয়েক দিন পর, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে পুরো দমে যুদ্ধ শুর🍸ু হয়ে য♚ায়।
গরিবপুরের সংঘর্ষ এবং ভারতের যুদ্ধক্ষেত্র:
রাজাকরদের লাগাতার অত্যাচারে তখন পূর্ব পাকিস্তানের আমজনতা বিধ্বস্ত। কিন্তু, তারা হার স্বীকার করতে নারাজ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ পাথেয় করে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধ🃏ে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধে। সেই যুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও বন্ধু হয়েছিল পড়শি ভারত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে সেই সময় গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। প্রাথমিকভাবে সেই বা𓂃হিনীকে সহজেই দমন করে পাক সেনা। এরপরই ভারতের সাহায্য চান মুক্তিযোদ্ধারা। ফলত, ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
গরিবপুর ছিল দুই পক্ষের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। কারণ, এখান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত যশোরের দূরত্ব ছিল🐲 খুবই কম।
ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থির করে, ২১ নভেম্বর গরিবপুর দখল করা হবে। ওই দিন যুদ্ধের ময়দানে নেমেই পাক বাহিনীকে কার্যত গুঁড়িয়ে 🍰দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের হাতে মার্কিন টꦗ্যাঙ্ক থাকলেও, তাতে তাদের শেষমেশ কোনও লাভ হয়নি।
ওই সংঘর্ষে ভারতের মাত্র দু'টি ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই পাক সেনার তিনটি যুদ্ধ বিমান গুꦕলি করে নামিয়♐েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা।
ভারত ও পাকিস্তানের বায়ুসেনার মধ্যে এই লড়াই ইতিহাসের পাতায় আজও গৌরবের সঙ্গে অবস্থান করছে। যা🐬র পোশাকি﷽ নাম - 'বয়রার যুদ্ধ' বা 'ব্যাটল অফ বয়রা'। এরপর ২২ নভেম্বর বেআইনিভাবে ভারতের আকাশে ঢুকে পড়ায় আর চারটি পাক যুদ্ধ বিমানকে যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় বায়ু সেনা।
গরিবপুরের যুদ্ধ বা সংঘর্ষে ভারত খুঁজে পেয়েছিল🐷 তার নতুন নায়কদের। এই যুদ্ধে অন্যඣতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় সেনার পঞ্জাব রেজিমেন্ট।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার) আর কে সিংকে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য🅺 মহাবীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়। যা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। বীর চক্র পান ক্যাপ্টেন জি🅷 এস গিল। যিনি পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন। সম্মানিত করা হয় অন্য বীর যোদ্ধাদেরও।