আজ, সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখান থেকেই এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কারণ সন্দেশখালি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে ইডির অফিসাররা মারধর খান। আর তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গꦓোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই বলে সরব হন। আজ যেন তাঁদেরই নাম না করে জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তদন্তকারীদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা তো রয়েছেই। অমিত শাহকে চিঠি লেখেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্তের দাবি করেন তাঁরা। আর দুই ব্যক্তির তীব্র সমালোচনা কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ এই দু’জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। একজন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয়জন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন এজলাসে বসেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘বাংলায় যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা পড়েছে তা নিয়ে কেন কোনও কথা বলছেন না রাজ্যপাল?’ আবার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘বౠাংলায় আদৌ আইনশৃঙ্খলা রয়েছে বলে আপনারা মনে করেন?’
অন্যদিকে রাজ্যপালে🐬র সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা হয় বিষয়টি নিয়ে। সেখানে রাজ্যপালও সাংবাদিকদ😼ের বলেছেন, সংবিধান তার নিজের পথে চলবে। যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ না করে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজু দেখিয়েছেন। এদিন ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাকে কেউ গালাগালি করতেই পারেন। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলার বদনাম করলে আমার খুব গায়ে লাগে। বাংলাকে বদনাম করবেন না। অনেকে বলছেন, বাংলায় নাকি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। তাই যদি হবে তাহলে শ্রীরামপুর থানা কেন দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে একটি হল? কেন কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে, কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ শহর?’
আরও পড়ুন: ‘মটর মালার হার বিক্রি করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম’, নয়া প্রকল্প ঘোষণা মমꦯতার
এইসব নানা প্রশ্ন তুলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু꧂ই ব্যক্তিকেই বার্তা দিলেন। আর সন্দেশখালির নাম না করেও যেন সবটা বলে দিলেন। এটাকেই এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়েছে বলে মনে ক🦩রা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনেকে বলেছেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বেছে বেছে ত়ৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বাড়িতে যাচ্ছে ইডি–সিবিআই। সংবাদমাধ্যমকে আগাম খবর দিয়ে সেখানে গিয়ে প্ররোচনা দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বদনাম করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। এবার জবাব দিলেন মমতাও।