রাজ্যের সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতা💝লে বাংলাদেশের রোগীদের ভিড় বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, অন্যান্য অনেক দেশ যেমন আইসল্যান্ড, কাজাখস্তান, জিব্রাল্টারের মতো দেশের রোগীরাও এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিদেশীদের জন্য চিকিৎসা নীতি ঠিক করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এর জ𝓀ন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী ৩১ মে’র মধ্যে এই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।
স্বাস্থ্য ভবনে📖র আধিকারিকরা নথি খতিꦅয়ে দেখে জানতে পেরেছেন, বেশ কিছু দেশ থেকে এ রাজ্যে আসা লোকজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন। যেমন সম্প্রতি আইসল্যান্ডের বাসিন্দা এক মহিলা চিকিৎসাধীন ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এছাড়া, ভিন রাজ্য, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছেন। ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কতজন বিদেশি রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তা জানতে পরিসংখ্যান চেয়ে প﷽াঠান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাতে দেখা যায়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৩১২ জন বাংলাদেশি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ৪০ জন বাংলাদেশি এবং এসএসসকেএমে বাংলাদেশ ছাড়াও ১১ জন আইসল্যান্ডের রোগী চিকিৎসা ক🎃রিয়েছেন। এছাড়াও ছিলেন, কাজাখস্তানের দুজন এবং একজন জিব্রাল্টারের বাসিন্দা।
এইভাবেই বছরের পর বছর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বিদেশি এবং ভিন রাজ্যের নাগরিকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়েছেন। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এ💦 রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এছাড়াও, ভিন রাজ্যের রোগীদের সংখ্যাও বেড়েছে এবং তাঁরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। অথচ এই সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এই অবস্থায় বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য নীতি কী হওয়া উচিত তা ঠিক করার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে এসএসকেএমের সুপার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও, স্বাস্থ্য দফতরের এক অধিকর্তা সুপর্ণা দত্ত, যুগ্ম স্বাস্থ্য-অধিকর্তা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, আর এক অধিকর্তা অশ্বিনীকুমার মাজি এবং অতিরিক্ত স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুমন ভট্টাচার্য এই কমিটিতে রয়েছেন।