সল্টলেক থেকে শিলিগুড়ি- পরপর দু'দিন দু'প্রান্তে দুুই পুলিশকর্মীর দৌড়ের সাক্ষী থাকল রাজ্য। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে রুদ্ধশ্বাস ভঙ্গিমায় দৌড়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) অনুপ দত্ত। আর বুধবার শিলিগুড়িতে কয়েকজন এবিভিপি কর্মী-সমর্থক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্﷽দ্যোপাধ্ඣযায়ের ছবি পোড়ানোর চেষ্টা করতেই তা নিয়ে ছুট লাগালেন এক পুলিশকর্মী। আর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন এবিভিপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দলদাস’-এ পরিণত হয়েছে পুলিশ।
RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল ABVP-র
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার শিলিগুড়িতে মিছিল করে এবিভিপি। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে হিলকার্ড রোড, মহানন্দা সেতু হয়ে মহকুমা শাসকের দফতর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল আসে। মহকুমা শাসকের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন এবিভিপির প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারপরই উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের ব্♎যারিকেড ভাঙার চেষ্টা কর🗹েন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।
মমতার ছবি পোড়ানোর চেষ্টা ABVP-র
তারইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবি পোড়ানোর চেষ্টা করেন কয়েকজন এবিভিপি কর্মী-সমর্থক। সেইসময় তাঁদের পাশেই ছিলেন এক পুলিশকর্মী। সাদা পোশাকে ছিলেন। তাঁরা যখন ছবি পোড়ানোর চেষ্টা করেন,🍎 সেইসময় সেটি ছিনিয়ে নিয়ে ছুট লাগান ওই পুলিশকর্মী। ব্যারিকেডের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ অফিসারের হাতে তিনি ছবি দিয়ে দেন।
ওই পুলিশকর্মীর পিছনে দৌড়েও এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা ছবি নিতে পারেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক এবিভিপি নেতা অভিযোগ তোলেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের কাজে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। আর রাস্তায় নেমে নাট☂ক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মমতার ছবি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে চান বলে দাবি করেন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা।
মমতার কুশপুতুল দাহ ABVP-র
যদিও মমতার ছবি ফেরত পাননি এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা। কিছুক্ষণ হই-হট্টগোল করলেও পুলিশ কোনওমতেই ছবি ফিরিয়ে দেয়নি। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন এবিভিপি কর্ম🤡ী-সমর্থকরা। পুলিশকেও ‘তৃণমূলের দলদাস’ বলে কটাক্ষ করতে থাকেন। দেওয়া হতে থাকে স্লোগান। ব্যারিকেড টপকে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন। পুলিশকে ‘গালিগালাজ’ করারও অভিযোগ উঠেছে। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করেন এবিভিপির কর্মী-সমর্থকরা।