আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল। তার ভেতরেই এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। গোটা বিশ্বজুড়ে তার প্রতিবাদ। তার মধ্য়েই ফের শুক্রবার এবিপি-টিভি ৯, সিএন সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছিলেন সেই খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মা।
কী জানিয়েছেন তাঁরা?
মৃত মহিলা চিকিৎসকের বা༺বা জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনের প্রথম থেকেই একটা গা ছাড়া ব্য়াপার ছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেটা ধরেছে। সেটা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। গোটা পৃথিবী জানে। ঘটনাস্থলে কিছুটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। না হলে মনে হয় সিবিআইয়ের এতটা সময় লাগত না। সিবিআইকে যেটা বলার সেটা বলেছি। আমরা তো একটা ভালো এজেন্সি চেয়েছিলাম। সিবিআই একটা ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমরাই ধৈর্য্য হারাচ্ছি। ১৪দিন হয়ে গেল। বলতে চাইছি সবাই একটু তৎপর হয়ে কাজ করুন। সিবিআইয়ের উপর সবার আস্থা রয়েছে। আমাদেরও আস্থা আছে। তদন্ত করে বিষয়টির কূলকিনারা করুন। তারা তো কূল কিনারা করত𒐪েই পারেনি।’
সেই সঙ্গেই সংবাদ মাধ্য়মের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল খুনটা কি অন্য জায়গায় করা হয়েছে?
তাঁর বাবা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টেও এটা উঠেছে। যেদিন প্রথমে গিয়েছিলাম সেদিনও সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ওবসিয়ে রাখা হল।’
‘একটা কথা বলছি ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে সেই আন্দোলনের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজনে আমরাও গিয়ে ওদের সঙ্গে যোগ দেব। আমাদের পরඣিষ্কার কথা আমরা বিচার🉐 চাই। এর একটা বিহিত চাই। ’
আরজি করের প্রতিবাদে যোগ দেবেন?
মৃত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘যে কোনও জায়গায়। নিরপেক্ষভাবে যারা আমায় ডাকবে সেই আন্দোল꧟নে আমরা যোগ দেব।’
মৃত চিকিৎসকের মা বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চাই। মেডিকেলের সমস্ত স্টুডেন্টদের পাশে আমরা রয়েছি। তারাই আমাদের এখন সন্তান। প্রথম থেকেই বুঝতে পারছিলাম কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাউকে আড়াল 🍷করার চেষ্টা করছে সরকার। অন্য খুন ধর্ষণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমার মেয়ে ছিল অন ডিউটি ডাক্তার। অন্য ঘটনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। যেদিন ফোন করেছিল সেদিনই মনে হয়েছিল কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। ’
তাঁর বাবা বলেন, ‘পুলিশকে স্কটল্যাওন্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু এ কেমন বুঝতে পারছি না। পুলিশের উপর আমাদের আস্থা চলে গিয়েছিল। সিবিআইয়ের উপর আমাদের আস্থা আছে। ’জানিয়ে দেন মৃত চিকিৎসকের বাবা।