বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই দেশের তামাম বিরোধীরা মিলে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ গড়ে তুলেছে। এখন এই🅰 জোট বিজেপির কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে বিধানসভায় হাজির সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ সিবিআইয়ের এক অফিসার পৌঁছে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। এই খবর এবার চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও বিমানবাবু মুখ খুলতে নারাজ। বিধানসভার করিডর জুড়ে এখন সেই কথাই চর্চিত হচ্ছে।
এদিকে আগামী ২২ অগস্ট আবার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে এমন সিবিআই হানা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে বিধানসভায় কে দেখা করতে আসছেন, সেটা আমি বলব না। আমার সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে আসতে পারেন। কিন্তু সেটা নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে জবাবদ🔥িহি করব না। এটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।’ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেলেও বিধানসভা কর্মীদের তা চোখ এড়ায়নি। এখন প্রশ্ন উঠছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতেই কি নয়া কৌশল? সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েই তিনি বিধানসভায় ঢোকেন। তারপর বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চান। তখন তাঁকে সচিবালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা হয় বলে সূত্রের খবর।
অন্যদি♚কে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানস❀ভার তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা হলেন—পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই–ইডি। সেখানে হঠাৎ বিধানসভায় আসায় সবারই চোখ কপালে উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিধায়ককে গ্রেফতার বা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে গেলে বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানাতে হয়। আগে এই নিয়ম মানেনি সিবিআই ও ইডি। তাহলে কি নতুন কেউ জড়ালেন? উঠেছে প্রশ্ন। এই জোটের পর দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি–সিবিআই। এবার নজরে বাংলা।
আরও পড়ুন: খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র কি খুন হয়েছেন? মুখ▨ খুললেন ফরে🔯নসিক বিশেষজ্ঞ
তাছাড়া ২০২৪ সালের লে𒊎াকসভা নির্বাচনে বিজেপি আর ক্ষমতায় আসবে না। ক্ষমতায় আসবে ‘ইন্ডিয়া’। এমন প্রচার বাংলা থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। তারপরই বাংলার বিধানসভায় সিবিআই অফিসারের আগমন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও বড় খেলা আছে বলে বিধানসভার কর্মীরা মনে করছেন। বিজেপির বিধায়ক তথা পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন এসেছিল? সেটা অধ্যক্ষই বলতে পারবেন। অনেক বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাই এসে থাকতে পারে।’