কয়েকদিন আগেই তিনি পুলিশ কর্তাদের বলেছিলেন, কোনও ভিভিআইপি ব্যক্তির জন্য যান চলাচল বন্ধ করবেন না। এমনকী তাঁর জন্যও একই নিয়ম মানতে বলেছিলেন। কারণ বাংলার মানুষ যেন দুর্ভোগে না পড়েন সেই বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি। নিজের নিরাপত্তার কথাও ভাবেননি। এবার নিজের কনভয়ের গতি কমিয়ে এবং একধারে সরে গিয়ে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সকে যাওয়ার রাস্তা করে দিলেন। যা অন্যান্যদের কাছে নজির হয়ে থাকল। এভাবেই মুখ🍸্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বাংলার মানুষের পাশে থাকলেন। উপস্থিত পুলিশ কর্তারাও এই ঘটনা দেখে বেশ অবাক হয়ে পড়েন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। সেখানে পর পর তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। আর হিঙ্গলগঞ্জ থেকে দু’দিনের সফর সেরে ডু💟মুরজলা স্টেডিয়ামে নেমে নবান্নে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তিনি তিনটি রোগী সমেত অ্যাম্বুলেন্স তাঁর কনভয়ের পিছনে আটকে পড়েছে দেখতে পান। আর তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন, ‘কনভয় সাইড করুন। ওই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে রোগী রয়েছে। তাঁদের আগে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছনো দরকার। আমি একটু পরে গেলেও চলবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একধারে সরে যায় কনভয়। বেরিয়ে যায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স।
আর কী জানা যাচ্ছে? হিঙ্গলগঞ্জ থেকে ফিরছিল🎶েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী হেলিক♍প্টারে করে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে নামেন। তারপর সড়কপথে কনভয়ে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড হয়ে হ্যাংস্যাং মোড় থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন। তখন সাঁতরাগাছির দিক থেকে আসা তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স কনভয়ের পিছনে🥀 আটকে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কনভয় কিছুটা গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। আর একধারে সরে যায়। তখন অ্যাম্বুল্যান্সগুলি সহজেই বেরিয়ে যায়। তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ওই তিনটি অ্যাম্বুলেন্সগুলি যতক্ষণ না অনেকটা দূরে চলে যায় ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী নিজের কনভয় থামিয়ে বেশ কিছুক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর নবান্নের দিকে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই নিয়ে তিনি কাউকে কিছജু বলেননি। তবে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এভাবে কনভয় দাঁড় করিয়ে অ্যাম্বলেন্স ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা আগে কখনও কেউ করেননি বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।