পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ১,০২,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করল নবান্ন। শনিবার আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানেই এই বিপুল অর্থ দাবি করা হয়। ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে ১,০০০ কোটি টাকা সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।রাজ্যের পেশ করা হিসাব অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ঝড়ে ২৮,৫৬,০০০ বাড়ি ভেঙেছে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২৮,৫৬০ কোটি টাকা। মোট ১৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে কৃষিতে ১৫,৮৬০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। এছাড়া উদ্যান পালন বিভাগে মোট ২,৫০,৫৫৬ হেক্টর জমিতে আম, লিচু, পান ইত্যাদি চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের প্রায় ৮,০০০ নৌকা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা বয়েছে। এছাড়া রাজ্যে ২১,২২,০০০ গবাদি পশু মারা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। মোট ১,৫৮,০০০ হেক্টর জমির বনভূমি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ১৪,৬৪০টি স্কুল বাড়ির। ১২,৬৭৮টি আইসিডিএস কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩০১টি কলেজ ভবনের ক্ষতি হয়েছে। ২৪৫ কিলোমিটার নদীবাঁধ ও ৪ কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ ভেঙেছে। ফলে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১,০২,৪৪২ কোটি টাকা বলে দাবি নবান্নের। বলে রাখি, গত ২০ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপট চলাকালীনই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। একথা মুখ্যমন্ত্রী যখন ঘোষণা করে তখনও ঘূর্ণিঝড় পুরোপুরি বাংলাদেশে ঢুকে পারেনি। এতেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, কোন প্রযুক্তিতে ঝড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রিয়েল টাইমে জানতে পারলেন মুখ্যমন্ত্রী?নবান্নের দেওয়া এই রিপোর্ট সোমবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পেশ করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান অনুজ শর্মা।