ভরসা নেই 🐓নিজের দলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর। আমফানের ত্রাণ প্রাপকদের স্বচ্ছ্ব তালিকা তৈরি করতে কমিটি তৈরির নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই কমিটি গঠনের ভার দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের ওপরে। ইতিমধ্যে আমফানের ত্রাণ প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। ইচ্ছা করলে সেখানে কারও নাম যোগ করতে বা বাদ দিতে পারবে তারা।
নবান্নের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কমিটিতে থাকবেন ওই এলাকার কোনও পঞ্চায়েত সদস্য, বিডিওর প্রতিনিধি, একজন সরকারি আধিকারিক💃 ও প্রয়োজন মনে হলে বিরোধী 🍨দলের ১ জন নেতা। প্রতিটি পঞ্চায়েতে সাত দিনের মধ্যে তালিকা সংশোধন করে নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের এই সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আমফানের ত্রাণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ করেছিল তা মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? কমিটি গঠন করে এটাও মেনে নিলেন♏ যে দুর্নীতিতে জড়িত তাঁর দলেরই নেতারা। তাই তাঁদের ওপর মুখ্যমন্ত্রীর ভরসা নেই আর।
এছাড়া প্রশ্ন ওঠে, যে সব জায়গায় তালিকায় গরমিল পাওয়া যাবে সেখানে প্রথম তালি❀কা যিনি বানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে সরকার? না কি দলের লোক বলে এযাত্রাতেও ছাড়া পেয়ে যাবে তাঁরা? ক🎶েন ক্ষতিপূরণ ঘোষণার সময় কমিটি গড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী? কেন ১ মাস পার হয়ে যাওয়ার পর তৈরি হল কমিটি? ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও যাঁরা ২০,০০০ টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেবে সরকার?