শুধু চলতি বছরের ৩০ জুন অবধি নয়। তার পরেও বিনামূল্যে রেশন মিলবে বাংলায়। শুক্রবার চলতি অর্থবর্ষের বাজেট বা ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করার সময় এ কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ‘মা’ নামে এক নতুন প্রকল্পের সূচনার কথা এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য জুড়ে তৈরি করা হবে ‘মা’ নামে কমন কিচেন। যেখান থেকে সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় করে দু’বেলার খাবার পাবেন সমাজের দুঃস্থ মানুষজন। বামেদের ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’–এর আদলেই কি এই ‘মা’ কিচেন— উঠছে এই প্রশ্ন।করোনা মহামারীর জেরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিকে তিনমাস, পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি। এক–একজন রেশনের উপভোক্তাকে ৫ কিলো চাল ও ৫ কিলো গম দেওয়া হত প্রতিমাসে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিনামূল্যেই রেশন মিলছে। রেশন সামগ্রীর পরিমাণ অবশ্য ৫ কিলো থেকে ১ কিলো জনপ্রতি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন অবধি বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে সরকার। এদিন বাজেটে ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এটি আগামীদিনেও একইভাবে চলবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে উপকৃত হবে বহু মানুষ।ধারাবাহিকভাবে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু রাখার ব্যাপারে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে আমরা আগেই ২০২১–এর ৩০ জুন অবধি বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা জুন ২০২১–এর পরেও চালু থাকবে। আমি এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দর প্রস্তাব রাখছি।’এর পাশাপাশি ‘মা’ প্রকল্পের অধীন রাজ্য ব্যাপী কমন কিচেন তৈরি করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের দুঃস্থ মানুষজন যাতে দু’বেলা খেতে পায় সেই লক্ষ্যে ‘মা’ নামে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সকলের জন্য স্বল্প মূল্যে কমন কিচেন অর্থাৎ রান্না–করা খাবার চালু হবে। আমি এই বাবদ আগামী অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দর ঘোষণা করছি।’ লকডাউনের সময় বামেরা সমাজের দিন–দুঃখীদের অন্ন জোগানের উদ্দেশে যাদবপুর–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ তৈরি করেছিলেন। তার আদলেই এই ‘মা’ কমন কিচেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলছে অনেকে।