শুক্রবারই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে করোনা টিকার ১২ লক্ষ ডোজ। তার পরও বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতিমতো 🎉টিকা পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র। যার ফলে পরিকাঠামো থাকলেও টিকাকরণে গতি আনতে পারছেন না🐠 রাজ্য সরকার।
বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র – রাজ্য সংঘাত নিত্যদিনের ব্যাপারে। সামান্যতম ফাঁক ধরতে পারলেও কাউকে ছাড়ে না কোনও পক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কেন্দ্রের সমালোচনা করে বিবৃতি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাতে রাজ্যের টিকাকরণের খতিয়ানের পাশাপাশি,🔯 টিকারꦏ আকালের জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে কোথাও কেন্দ্রীয় সরকারের নাম উল্লেখ করেনি রাজ্য। তবে বয়ানে স্পষ্ট, নিশানা কোথায়।
এদিন জারি বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে টিকাকরণে সব থেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যে ২ কোটি ৭৬ লক্ষের বেশি মানুষকে ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। ওতার মধ্যে ১ কোটি ১৫ লক্ষ একটি ডোজ ও প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ ২টি ডোজ পেয়েছেন। টিকাকরণের হার সব থেকে বেশি ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে।
সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এই মুহূর্তে রাজ্যর প্রতি মাসে ১.৫ কোটি মানুষের টিকাকরণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র চাহিদামতো টিকা সরবরাহ করতে পারছে না। চলতি মাসে কেন্দ্রের ৭৫ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহের কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে ৫৪ লক্ষ ডোজ। যার মধ্যে কোভ্যাকসিন সরবরাহের অবস্থা সবও থেকে খারাপ। এই টিকার ২টি ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে নিতে হয়। কিন্তু রাজ্যে এখন সাকুল্যে কোভ্যাকসিনের ১ লক্ষ ডোজ পড়ে রয়েছে। ফলে অনেকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় হয়ে গেলেও তাঁরা টিকা পাচ্ছেন না।