প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোক প্র🍸কাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিব𒀰ার সোশ্যাল সাইটে বুদ্ধবাবুকে স্মরণ করেন তিনি। একই সঙ্গে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার ও তাঁর দলীয় কর্মীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গেছি। এই মুহূ♉র্তে আমি খুব দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মꦫীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমি সিপিআই(এম) দলের সকল সদস্য-সদস্যা, সমর্থক এবং তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে কলকাতার পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে তাঁর দলেক নেতা - কর্মী ও অসংখ্য অনুরাগীন মনে শোকের ছায়া। ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধবাবু। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি ও শিল্পায়নের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হয় তাঁকে। ২০১১ সালে সংগঠিত বিরোধীদের সামনে পরাজয় হয় বামেদের। তার পর থেকেই রাজ্যে শিল্পের দুর্ভিক্ষ বাড়তে থাকে। এমনকী দিন মজুরির কাজের জন্যও কখনও দাক্ষিণাত্য, কখনও পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে যেতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ যুবক, যুবতীকে।ꦏ