যৌন হেনস্তার দায়ে একজন পুরুষকে দোষী করা♊ হলে মহিলা কেন একই অভিযোগে দোষী হতে পারে না? সেই প্রশ্ন অনেকেরই।।একটি মামলায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার একক বেঞ্চে। সেই মামলাতেই এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ওসিকে আপত্তিকর মন্তব্য মামলায় স্বস্তি পেলে♋ন সৌমিত্র, এ𝕴ফআইআর খারিজ আদালতের
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। এক মহিলা ৪ জনের বিরুদ্ধে তার মাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। এই চার অভিযুক্তের মধ্যে একজন ছিলেন মহিলা। তিনি ছিলেন মূল অভিযুক্ত। তবে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন যে তার কোনও দোষ 🌠নেই। এই দাবি জানিয়ে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা।
অভিযোগকারী মহিলার অভিযোগ ছিল তার মা যখন পোশাক বদল করছিলেন সেই সময় ওই অভিযুক্ত বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তিনি যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন। এমনকী লোভ দেখিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত করার চেষ্টা করতেও বাধ্য করেন। আরও অভিযোগ, ওই মহিলা ও তার বাবা মিলে মাকে অত্যাচার করত। ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। কিন্তু, চার্জশিট ঘিরেই তৈরি হয় ꦫসমস্যা। কারণ যৌন হেনস্তা📖র অভিযোগে ওই মহিলারও নাম ছিল। মহিলার দাবি, চার্জশিটে তার নামও লেখা হয়েছে।
মহিলার আদালতে দাবি করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। অথচ তাকেও এই ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।।মহিলা দাবি করেছেন, কেবলমাত্র পুরুষের ক্ষেত্রে এই আইন༒ প্রযোজ্য। কারণ ৩৫৪এ ধারার শুরুতেই বলা হয়েছে ‘এ ম্যান’। তাহলে কীভাবে তা মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে? তাই নয় প্রশ্ন তোলেন মহিলার আইনজীবী। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ ধারায় মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। ফলে মহিলা বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছিল সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি জানান, মামলাকারীর নাম বাদ যাবে। শুধুমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর বাবার নাম থাকবে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, মহিলার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।