বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার তৎকালীন ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন বিজেপি সাংসদ। শুক্রবার কলকাতা ꦜহাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁর আবেদন খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মামলা থেকে রেহাই পেলেন সৌমিত্র খাঁ।
আরও পড়ুন: TMC করায় ক্যানসারের 🌼রোগী♒কে শংসাপত্র না দেওয়ার অভিযোগ, সৌমিত্রকে তোপ আজাদের
সৌমিত্রর বিরুদ্ধে ওসিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল গত বছরের এপ্রিলে। অভিযোগ ওঠে সোনামুখী থানার মানিকবাজারে বিজেপির স্মারকলিপি জমা দেওয়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে মানিকবাজারে বক্তব্য 𝓀রাখতে গিয়ে সোনামুখী থানার তৎকালীন আইসি সৌরদীপ্ত ভট্টাচার্য কেনিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। আইসি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাবা মায়ের নাম করে তাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেই ঘটনায় সোনামুখী থানায় মামলা করে পুলিশ। তখন মামলাটি নিম্ন আদালতে ওঠে। যেহেতু🅰 সৌমিত্র একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরের ওই মামলার এত দিন শুনানি চলছিল বিধাননগরের সাংসদ-বিধায়ক আদলতে।
এর আগে সৌমিত্র খাঁকে আদালত বারবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, হাজিরা এড়ি🌄য়ে যাওয়ায় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলাতে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ।শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ সোনামুখী থানায় দায়ের হওয়া সৌমিত্রের বিরুদ্ধে ওই এফআইআরটি খারিজের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পত্রসায়র ও বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালত সূত্রে জানা যায়, বেআইনি ভাবে বালি উত্তোলন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল সৌমিত্রর বিরুদ্ধে। সেই মামলার জেরে সেই সময় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সৌমিত্রকে ওই কেন্দ্রে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল।