ধরা পড়েছে শিবু হাজরা। তিনি আবার শেখ শাহজাহানের কার্যত ডান হাত ছিলেন। কিন্তু শেখ শাহজাহানের খোঁজ নেই। কোথায় গেল সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা? গোটা বাংলা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এনিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখলেন সংবাদমাধ্য়মের সামনে। এমনকী সেই সঙ্গেই তিনি ইডির দিকে আঙুল তোলা শুরু করলেন।শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে শাহজাহান প্রসঙ্গে ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ইডিই তো শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। তারা কেন তাকে গ্রেফতার করছে না? ডিজি বলেন, রাজ্য় পুলিশ যখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডিই সেই তদন্ত বন্ধ করে দেয়।অন্যদিকে সন্দেশখালির ভুরি ভুরি অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিজি জানিয়েছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির আগে আমাদের কাছে সন্দেশখালি থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তারপর থেকে যা যা অভিযোগ এসেছে সব কিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সন্দেশখালির মহিলারা নির্ভয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারেন।এদিকে বর্তমানে এলাকাভিত্তিক ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে। ডিজি জানিয়েছেন, কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিভিন্ন লোক আইন ভাঙার চেষ্টা করছিল। তাই বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।সেই ১৪৪ ধারা কবে তোলা হবে সেই প্রসঙ্গে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, এলাকাভিত্তিক রিভিউ করা হবে। আমরা চাইছি স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসুক। তাই যে সব এলাকায় ১৪৪ ধারার প্রয়োজন নেই। সেই সব এলাকা থেকে এক দুদিনের মধ্য়ে ১৪৪ ধারা তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।এদিকে শাহজাহানের দুই সঙ্গী উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে দুই সঙ্গীই। এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে বলেই সেটা প্রমাণিত এমনটা নয়। সেই সঙ্গেই ভিনরাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে আনেন কুণাল ঘোষ।এদিকে শিবপ্রসাদ হাজরা ধরা পড়ার খবরে স্বস্তি পেয়েছেন সন্দেশখালির মহিলাদের অনেকেই। এবার তারা চান ধরা পড়ুক শাহজাহান। সেই সঙ্গেই মহিলাদের একাংশের মনের মধ্য়ে এখনো সংশয় রয়েছে। শিবপ্রসাদ কতটা শাস্তি পাবে সেই প্রশ্নও তুলছেন তারা। আর শিবপ্রসাদরা বাইরে বেরলো ফের যে এলাকায় অশান্তি ফিরবে তা বিলক্ষণ জানেন তারা। সেকারণে তারা শিবুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাইছেন।