মুকুল রায় কোথায়? শুভেন্দু অধিকারী কোথায়? তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি? নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম-সহ চার তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করার নিয়ে এমনই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য কি শুভেন্দু ও মুকুলকে ছাড়💎 দেওয়া হয়েছে? যদিও বিজেপির দাবি, গ্রেফতারির সঙ♓্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে কুৎসিত পরাজয়ের পর মরিয়া হয়ে এরকম আচরণ করছে বিজেপি।’ তাঁর প্রশ্ন, মুকুল ও শুভেন্দু কোথায় গেলেন? তাঁদের নাম তো এফআইআরে আছে। শঙ্কুদেব পন্ডা তো এজেন্ট হিসেবে কাজ করবেনও বলেছিলেন। তাঁদের গ্র🐽েফতার করা হয়নি কেন? পাশাপাশি কুণালের বক্তব্য, আপাতত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করে করোনা মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা ধাক্কা খাবে। পুরো ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ 🉐তুলেছেন কুণাল।
একই সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত🍃 রায়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ কাজ করছে বিজেপি। সেজন্যই ফিরহাদদের গ্রেফতার করা হয়েছ💖ে। তাঁর প্রশ্ন, একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু এবং মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে?
সোমবার সকালে চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিতরেও চলে যান তাঁরা। কিন্তু ঠিক কী কারণে ফিরহাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে সꦉ্পষ্ট করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর বাহিনীর ঘেরাটোপে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হল।’ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় ফিরহাদ দাবি করেন, আগাম কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ফিরহাদ। একই দাবি করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। চার্জশিটে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার নারদকাণ্ডে ফিরহাদ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। সেজন্য প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন, তৃণমূল বিꦏধায়ক মদন, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতকেও নিজাম প্ജযালেসে আনা হয়েছে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকেও নিয়ে আসা হচ্ছে। পরে অবশ্য সরকারিভাবে শোভন, ফিরহাদ, সুব্রত এবং মদনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।