কলকাতায় রেমডেসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগের কি তদন্ত করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)? সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রওীয় সংস্থা। সেজন্য দিল্লিতে ইতিমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির উপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
কলকাতায় থেকে করোনাভাইরাসের ওষুধ রেমডেসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগে মে'তে দুটি মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। সূত্রের খবর, সেই মামলায় ইতিমধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। মামলা কতদূর এগিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দিল্লিতে কমিটি গঠন করেছে ইডি। চলতি সপ্তাহেই সেই কমিটি আলোচনায় বসবে। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, কী কী তথ্য প্রমাণ জোগাড় হয়েছে, সেই ঘটনায় ꦇআরও বড় কোনও চক্রের হদিশ মিলেছে কিনা, যাবতীয় দিক বিশ্লেষণ করা হবে। ইতিমধ্যে ইডির হাতেও বেশ কিছু সূত্র এসেছে। তার ভিত্তিতে কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, ইডি আদৌও মামলার তদন্তে নামবে কিনা।
এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় স্রোতের শুরু থেকে কলকাতায় রেমডিভিসিরের কালোবাজারির অভিযো🐠গ উঠেছে। কালোবাজারির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবারও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। পুলিশের দাবি, আগেভাগেই ওই ব্যক্তি বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণে রেমডেসিভির কিনে রেখেছিল। তারপর অনলাইনে চড়া দামে বিক্রি করছিল। বিশেষত রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে হাসপাতাল থেকেই শুধুমাত্র রেমডিভিসির দেওয়া যাবে। তারপরও ওই ব্যক্তি কীভাবে অত পরিমাণে ওষুধ মজুত করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় বড় কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।