সুইমস্যুটে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়েছিলেন। সেই 'আপত্তিজনক' এবং 'অনুপযুক্ত' ছবি দেওয়ার জন্য ইংরেজির এক সহকারী অধ্যাপককে ইস্তফা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে অ🍌বশ্য প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের দ্য ওয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সেই ঘটনাটি ঘটেছে।ওই সহকারী অধ্যাপকের দাবি, গত বছর অগস্টে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। অক্টোবরে উপাচার্যের দফতর থেকে তাঁর কাছে ফোন করে একটি বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। সেখানে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ইংরেজি বিভাগের সহকর্মী ছিলেন। বাকিরা তাঁর অপরিচিত বলে দাবি করেছেন ওই সহকারী অধ্যাপক। তাঁর দাবি, ওই বৈঠকে ত♔াঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ২৫ অক্টোবর ইস্তফা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: NIRF Rankings 2021: উত্থান জেভিয়ার্স, রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড়ের, দেশের সেরা একশোয় কমল বাংলার🎃 কলেজ
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইস্তফার একদিন আগে পূর্ব যাদবপুর থানায় ৩০ বছরের ওই সহকারী অধ্যাপক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, বৈঠক শ🍷ুরুর পর উপাচার্য জানিয়েছিলেন যে সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের এক পড়ুয়ার অভিভাবক লিখিত অভিযোগ করেছেন। পড়ুয়ার অভিভাবক দাবি করেছেন, ওই মহিলা অধ্যাপকের 'আপত্তিজনক' ছবির দিকে ছেলেকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছেন। তারপর কাগজে প্রিন্ট করা কয়েকটি ছবি তাঁকে দেখানো হয় বলে দাবি করেছেন ওই সহকারী অধ্য𒀰াপক। যিনি ইউরোপের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন।
যদিও সহকারী অধ্যাপকের দাবি, সেই ছবিগুলির মধ্যে সুইমস্যুট পরিহিত দুটি ছবি ছিল। যা সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের দু'মাস আগে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছিলেন। সহকারী অধ্যাপকেকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জেভিয়ার্সে যোগ দেওয়ার দু'মাস আগে সুইমস্যুট পরা ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়েছিলেন। তাই কোনওভাবেই অক্টোবরেও সেই ছবি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ২৪ ঘণ্টা পরই ইনস্টাগ্রাম স্টোরি মুছে যায়। সেইসঙ্গে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট 'প্রাইভেট' করে রাখা। সেই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই অক্টোবরে ওই পড়ুয়া ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছবি দেখতে পারবেন না বলে ওই সহকারী অধ্য🐟াপক। সেই পরিস্থিতিতে অ্যাকাউন্ট হ্যাকের আশঙ্কা প্রকাশ কর🐻ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন।
পুলিশি অভিযোগে ওই সহকারী অধ্যাপক দাবি করেছেন, পরিস্থিতির চাপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। ক✅িন্তু সেই চিঠি দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পড়ুয়াদের মধ্যে ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর সামনে দুটি বিকল্প (ইস্তফা দিতে হবে, নাহলে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে) দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সহকারী অধ্যাপক।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর জেভিয়ার্স থেকে অধ্যাপক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর চলতি বছরের ১ মার্𒈔চ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছেন অধ্যাপক। সেইসঙ্গে অধ্যাপককে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয় বলে ওই প্রতিবেদন🍃ে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ইমেলের মাধ্যমে সেই প্রশ্নপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।