ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১ টা বাজে। সেই সময় আচমকা কলকাতা পুলিশে🐷র ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি ভিডিয়ো পাঠান এক ব্যক্তি। আসলে সেই ভিডিয়োটি ছিল একটি ফেসবুক লাইভের স্ক্রিন রেকর্ডিং। তাতে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা বলতে দেখা যায় ২০ বছর বয়সি এক যুবককে। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে ঠিকানা বের করে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে জীবন বাঁচাল পুলিশ। ঘটনাটি শুক্রবারের।
আরও পড়ুন: 🦋ফেসবুক লাইভে কুণালকে দুষে আত্মঘাতী বিজেপির অভিষেক , হুগলিতে আলোড়ন তুঙ্গে
পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ভিডিয়োটি পুলিশকে পাঠিয়েছিলেন একসময় তিনি ওই যুবকের বন্ধু ছিলেন। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর বন্ধুর আগের ফোন নম্বর থাকলেও তিনি ঠিকানা জানতেন না। এদিকে, ওই যুবকের ফেসবুক প্রোফাইল লক থাকায় যুবকের ঠিকানা জানতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। তখন থানার তরফ থেকে ওই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ফোন বন্ধ থাকে। খবর দেওয়া হয় বেহালা থানার𓃲 অফিসারদের। জানানো হয় সরশুনা থানাকেও। সেখানেও চলতে থাকে ওই যুবকের খোঁজ। তবে যুবকের নামে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম থাকায় পুলিশ বেশ কয়েকটি ভুল ঠিকানায় পৌঁছয়। তখন পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুবকের ফোন নম্বর মারফত ঠিকানা খুঁজে পায়। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানাকেও। শেষমেশ ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছয় তিন থানার পুলিশ। তবে কোনও আত্মহত্যার আগেই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ।
🍬যুবকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কয়েকটি বিষয় নিয়ে অবসাদগ্রস্ত থাকার ফলে মুহূর্তের আবেগে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে পুলিশ এমন পদক্ষেপ করতে না করার জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে যুবক পুলিশকে জানান ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না তিনি। সন্তানের সুস্থতার জন্য কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর মা। তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। পুলিশকর্মীদের তৎপরতা দেখে অবাক হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, তাঁরা টেরই পাননি যে বাড়ির ছেলে আত্মহত্যা করতে চলেছেন। পুলিশের এমন উদ্যোগে তাঁরা খুশি। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে ওই যুবকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, বিষয়টি খুব গুরুতর হওয়ায় যুবকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।