মধুস্মৃতি বিজরিত দুই খান ঘর, যেখানে ভালোবেসে সাহিত্যের স্বপ্ন দেখতেন কবি, জীবনের শেষ তিনটে মাস যে ঘরে থেকেছিলেন কবি, সেই ঘর তো আর করুণ দশায় ফেলে রাখা যায় না কখনওই। হাজারো সাহিত্য গবেষক রয়েছেন, সাহিত্যিক রয়েছেন, প্রাণাধিক প্রিয় মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভক্তরা রয়েছেন, যাঁরা আজও তাঁর স্মৃতিতে ফিরে তাকাতে চায়, তাঁদের জন্যই খুলে দেওয়া হবার মধুকবি🧸র বাড়ি।
২০০ বছর কেটে গিয়েছে। চলে গিয়েছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। রেখে গিয়েছেন একাধিক বঙ্গ কবিতা, বাংলার মায়ের প্রতি আন্তরিকতার কবিতা, তরুণ মনে বিদ্রোহের কবিতা, আফসোসের কবিতা। আজ সেই সমস্ত বিষয়কে আরও একবার পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দিতে এদিন হুগলির উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদ🅠ব বলেন, ‘মাইকেলের বিষয়ে প্রদর্শনীটি স্থায়ী ভাবে জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরিতে সরিয়ে এনে সাধারণের জন্য খুলে দেব। নাগরিক পরিষেবা ছাড়া স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি মেলে ধরাও তো পুরসভার কাজ।’
থানার বড়কর্তার ‘꧟কথা’ রেখেছেন দুখু মাঝি, লাল পলাশের দেশে গাছ বসিয়ে পদ্মশ্রী
উত্তরপাড়ায় থাকতেন মাইকেল, স্ত্রী হেনরিয়েটার সঙ্গে জীবনের শেষ তিন মাস কাটিয়েছেন। জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেই বাসস্থান ছিল তাঁর। কাছের বন্ধু রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ই তাঁর এই থা🅰কার জায়গাটি করে দিয়েছিলেন। জয়কৃষ্ণের নাতি ছিল রাসবিহারী। একেবারে গঙ্গার ধারে ছিল বাড়িটি। ১৯৭৩ সালে মাইকেল যখ🔴ন প্রায় মৃত্যু শয্যায়, অসুস্থ। ওই বাড়ি থেকেই নৌকায় চাপেন কবি। ভর্তি হন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও কলকাতায় গিয়ে মাত্র কয়েক দিনে মধ্যেই মারা যান মাইকেল ও হেনরিয়েটা।
মাইকেলের এককালীন এই বাসস্থানটিই হল ‘ꦺজয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি’। অন্যতম হাই-প্রোফাইল গ্রন্থাগার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং বিধানচন্দ্র রায় থেকে শুরু করে বাম সুপ্রিমো জ্যোতি বসু, সহ আরও প্রায় অনেকেই এই গ্রন্থাগার থেকে ঘুরে গিয়েছেন। ইতালিয়🦄ান স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই লাইব্রেরী হুগলির অন্যতম আর্কষণীয় স্থান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরিতে এখনও মধুসূদনের পোশাক থেকে শুরু করে তাঁর সাংসারিক সামগ্রী যেমন, বাসনপত্র, গ্রামোফোন, সবই পড়ে রয়েছে।
কলকাতায় সেকেলে বাড়িগুলো আজ ভগ্নদশায়। বেদখল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতꦕি আগলে বসে থাকা একাধিক বাড়িও। সে বাড়ির যা হাল, পর্যটকরা দেখলেও চিনতে পারবেন না। এদিকে কলকাতা ছাড়িয়ে উত্তরপাড়ায় পৌঁছে কবির বাড়ির পুনরুদ্ধারে খুশিই হবেন সাহিত্যপ্রেমীরা। আশা রাখছেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।