একেবারে প্রান্তিক মানুষ। তবুও জীবনভর যে কাজটা করে যাচ্ছ🥀েন তিনি তাকেই সম্মান জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে পুরুলিয়ার সিন্ডরি গ্রামের বা🔥সিন্দা দুখু মাঝি। সেই দুখু মাঝিই এবার পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে পুরুলিয়ার রুখা শুখা জমিতে গাছ লাগান তিনি।
সামাজিক কাজ( পরিবেশ-বৃক্ষরোপন) বিভাগে পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, একজন পরিবেশবিদ, যিনি 𝔉বৃক্ষরোপন করতে ও সবুজ ভবিষ্যতের জন্য় সচেতনতা বাড়াতে নিজের জীবনের পাঁচটা দশক উৎসর্গ করে দিয়েছেন।
বয়স ৭৮ বছর। জীবনে সায়াহ্নে এসেও নিজের ব্রত থেকে সরে আসতে চাননি তিনি। এই গাছই তো রক্ষা করবে পৃথিবীকে। গোটা পৃথিবীজুড়ে উন্নয়নের নাম করে যখন বৃক্ষছেদন করা হয় তখন পুরুলিয়ার অজ গ্রামে๊র বাসিন্দা দুখু এ গ্রাম ও গ্রাম ঘুরে ঘুরে গাছ লাগান। আজ থেকে নয়, সেই পাঁচ দশক আগে থেকেই নিরন্তর এই কাজ করে চলেছেন তিনি। সঙ্গে একটা ভাঙা সাইকেল। তাতে চেপেই চলে তাঁর এই সাধনা। ৫০০০ এর বেশি বটগাছ, আম গাছ, জামগাছ বসিয়ে ফেলেছেন গাছ দাদু।
কিন্তু এই যে গাছ লাগালে পরিবেশ বাঁচবে, পৃথি𒅌বী বাঁচবে, গা না লাগানে জীবন🎐টা ষোলো আনাই মাটি এটা দুখু মাঝিকে কে বোঝালেন? আসলে এর পেছনে আছে এক বড়় কাহিনি।
বহু বছর আগে গ্রামের থানায় গিয়েছিলেন দুখু। থানার সাহেবকে বলেছিলেন কাজের কথাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ। আর সাহেব বলেছিল𝓡েন গাছ লাগাও। কেমন যেন খটকা লেগেছিল এই কথাটা শুনে। গাছ লাগাতে বলছেন সাহেব। কিন্তু সংসারে তো নিত্য অভাব। কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে সেই বড়কর্তার কথাটা বুঝতে পেরেছিলেন দুখু মাঝি। গাছ থাকলে বাঁচবে পুরুলিয়া, বাঁচবে পৃথিবী। বাঁচবে বাংলা। তারপর আর থেমে থাকেননি। ধূ ধূ প্রান্তরে শুরু হল গাছ লাগানোর কাজ। প্রখর রোদ যখন পুরুলিয়াকে একেবারে শুষে নিতে চায় তখন দুখুর গাছ ছায়া দেয় ক্লান্ত পথিককে।
গাছ পাগল বলে অনেকে অনেক কথা বলতেন। কিন্তু সেসব কথাকে আমল দেননি তিনি। গাছ লাগানোকে জীবনের চলার পথের সঙ্গে যোগ করে নেন তিনি। আর সেই কাজই তাঁকে আলাদাভাবে চিনিয়ে দিল গোটা দেশের কাছে। দেশের গর্ব তিনি। পুরুলিয়ার গর্ব তিনি। শিক্ষিত বিত্তশালী মানুষের দল যখন গাছ কেটে ফেলেন সব জেনেও, তখন দুখু মাঝির মতো প্রান্তিক মানুষ🌼রা পরম যত্ন করে আগলে রাখেন আম, কাঁঠাল, বট, পলাশের গাছকে।