ট্⛄যাব কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য। ট্যাবের টাকা না পেয়ে বিক্ষোভ অবরোধ করেছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া। আর এবার ট্যাবের টাকা পেতেই উধাও হয়ে গেল বহু পড়ুয়া। একাধিক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে অনুপস্থিত থাকল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পড়ুয়া। শিক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন ট্যাবের টাকা পাওয়ার পরেই তারা স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে। অনেক শিক্ষকের মতে ট্যাবের টাকা চালু হওয়ার পর স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ট্যাব দুর্নীতির🗹 তদন্তে সামনে এল চোখ ছানাবড়া করে দেওয়া 'জিনিস', হতবাক আধিকারিকর✱া
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচুয়াখালি হাইস্কুল, মগরাহাটের মল্লভপ❀ুর আদর্শ বিদ্যামন্দির, মুর্শিদাবাদের নবপল্লি জেসিএস হাইস্কুল প্রভৃতি বিদ্যালয়ে এমন উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে মগরাহাটের মল্লভপুর আদর্শ বিদ্যামন্দিরে ট্যাবের টাকা ঢোকার পরেই ১০ থেকে ২৩ শতাংশ পড়ুয়া টেস্টের পরীক্ষায় বসেনি বলে দাবি শিক্ষকদের। এই স্কুলের ৯০ জনের মধ্যে টেস্🐠টে অনুপস্থিত ছিল মধ্যে ন’জন। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, ওই পড়ুয়ারা পুজোর ছুটির আগে পর্যন্ত স্কুলে এসেছিল। আর ট্যাবের টাকা ঢুকতেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য স্কুল ছেড়েছে বলে মনে করছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচুয়াখালি হাইস্কুলে ১০২ জনের মধ্যে ২৭ জন ℱপড়ুয়া টেস্টে অনুপস্থিত। একইভাবে মুর্শিদাবাদের নবপল📖্লি জেসিএস হাইস্কুলে ১৮৩ জনের মধ্যে টেস্টে অনুপস্থিত ৬৩ জন। যারা অনুপস্থিত তারা সকলেই ট্যাবের ১০ হাজার টাকা টাকা পেয়েছে। তারপরেই অনুপস্থিত। তবে শুধুমাত্র এই তিনটি স্কুল থেকেই নয় এরকম একাধিক স্কুল থেকে এরকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোনও কোনও স্কুলে আবার ৩০ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত বলে দাবি করেছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার। তিনি জানান, এই প্রথম নয় এর আগেও এই ধরনের উদাহরণ রয়েছে। তাঁর মতে, ট্যাবের টাকা দেওয়ার পর থেকে স্কুলছুট বরঞ্চ বাড়ছে।
প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্ജযান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের বক্তব্য, পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা না দিয়ে বরং স্কুলে স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের পরিকাঠামো তৈরি করা হলে বেশি ভালো হবে। এতে স্কুജলের পাশাপাশি পড়ুয়াদের বিকাশ হবে। তবে শিক্ষা দফতর অবশ্য দাবি করছে, ট্যাবের টাকার সঙ্গে স্কুলছুটের কোনও সম্পর্ক নেই। ট্যাব বহু পড়ুয়ার কাজে লাগে।