শনিবার জয়পুরে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সের বৈভব সূর্যবংশীকে। এদিন সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে অভিষেক হয় বৈভবের। কিন্তু এর পরে যা ঘটেছিল, সেটা তাকে রাতারাতি প্রচারের আলোয় 𒊎নিয়ে এসেছে। অভিষেক ম্যাচের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকায় বৈভব, সেটা দেখেই সকলে হতবাক হয়েছিলেন। এর পর ১৪ বছরের কিশোর ২০ বলে ৩৪ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলে চমকে দেয় সকলকে। ওপেনিং জুটিতে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ৮৫ রান করে বৈভব।
গত নভেম্বরে আইপিএলের মেগা নিলামে র♚াজস্থান রয়্যালস তাঁকে ১.১ কোটি টাকায় দলে নেওয়ার পর থেকেই ১৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে ঘিরে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছিল। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে একটি টেস্ট ম্যাচে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বৈভব। শনিবার ব্লকবাস্টার অভিষেকের একদিন পরেই বৈভবের কোচ মণীশ ওঝা জানালেন, কীমভাবে আইপিএলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বিহারের এই ক্রিকেটার। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়সে কড়া ডায়েট মেনে চলে বৈভব। খাসির মাংস, পিৎজা খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছে এই কিশোর।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক সাক্༺ষাღৎকারে ওঝা বলেছেন, ‘মটন নেহি খানা হ্যায় উসকো, ইন্সট্রাকশনস হ্যায়। পিৎজা হটা দিয়া হ্যায় উসকে ডায়েট চার্ট মে সে (নির্দেশ মেনে খাসির মাংস খায় না। এর ডায়েট চার্ট থেকে পিৎজা বাদ দেওয়া হয়েছে)। ও শুধু মুরগি আর খাসির মাংস পছন্দ করত। ছোটবেলায় পিৎজা খেতে খুব ভালোবাসত। কিন্তু এখন আর খায় না। আমরা যখন ওকে মটন দিতাম, আমরা যতই দিতাম না করত না, ও শেষ করে ফেলত। এ কারণেই ও কিন্তু কিছুটা গোলগাল।’
ওঝা স্বীকার করেছেন যে, বৈভবকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। পাশাপাশি তিনি বৈভবের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যুবরাজ সিং এবং ব্রায়ান লারা মিল খুঁজে পান। বলেছেন, ‘ও অনেক দূর যাবে। ও যেভ🦩াবে ইনিংস শুরু করেছিল, তা আমরা দেখেছি এবং আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি- সামনের ম্যাচগুলোতে ও বড় রান করবে। ও ভয়ডরহীন ব্যাটসম্যান। ও বারবার ব্রায়ান লারার প্রশংসা করেন। তবে ও যুবরাজ সিং এবং ব্রায়ান লারার মিশ্রণ। ওর আগ্রাসন যুবরাজের মতোই।’
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন রাজস্থানের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে বৈভব বার্তা পেয়েছিল যে ওর অভিষেক হবে। ওঝা বলেন, ‘ও খুব খুশি ছিল। অনুশীলনের পর বৈভব আমাকে ফোন করে বলে, রাহুল দ্রাবিড় স্যার এবং ম্যানেজমেন্ট ওকে ডেকে বলেছে যে, ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলবে। উচ্ছ্বসিত ছিল বৈভব। কিন্তু টেনশনে ছিল। আমি বলেছিলাম, মনকে শান্ত করতে এবং যেভাবে খেলেছে, সেভাবেই খেলতে। ও বল𒊎েছিল, ছক্কাওয়ালা বল আয়েগা তো মারুঙ্গা, রুকুঙ্গা নেহি (ছক্কা মা🌳রার মতো বল হলে মারব, থামব না।)’