𝓡 বাংলাদেশে পর পর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্যের মধ্যেই অব্যাহত এদেশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা। ওপার বাংলায় বহু রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাঝে এপার বাংলার নদিয়ায় পর পর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর গ্রেফতারি অব্যাহত রয়েছে। সদ্য নদিয়ার হাঁসখালিতে শুক্রবার ৩ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে এক ভারতীয় দালালও গ্রেফতার হয়েছে। মোট ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে ঘটনায়।
🥀জানা যাচ্ছে, ওই ৩ বাংলাদেশি দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল। আর গোপনসূত্রে সেখবর পেতেই অভিযান চালিয়েছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভারতের দালাল চক্রের সদস্যদের সহায়তাতেই তারা এভাবে গা ঢাকা দিতে পেরেছে। খবর পেতেই পুলিশ ৩ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। অনুপ্রবেশকারীদের নাম, অভি মিঞা, সুজ্জল মিঞা, তানিয়া আখতার। এদিকে, ওই অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আরও একজনের সন্ধান পায় পুলিশ। হদিশ মেলে শরিফলু মণ্ডলের। দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয় শরিফুল। এদিকে, বাংলাদেশ থেকে আসা ওই ৩ জনকে জেরা করছে পুলিশ। কোন উদ্দেশে তারা দেশ ছেড়েছে, বা কেন ভারতে এসেছে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অসম পুলিশের তৎপরতায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একের পর এক সদস্য গ্রেফতার হয়। তাদের নাশকতার ছকও হয়েছে ফাঁস। হাঁসখালিতে যাদের আজ গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে।
ꦑ তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কিভাবে ভারতের প্রবেশ করেছিল এবং তাদের সাথে আরও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আছে কিনা তারও খোঁজ করছে পুলিশ। উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করছে রানাঘাট পুলিশ জেলা। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হচ্ছে ভারতীয় দালাল চক্রের সাথে জড়িত থাকা মূল পান্ডাদের। দেখা যাচ্ছে, ভারতে অনুপ্রবেশ করে বহু বাংলাদেশি সহজে ভুয়ো আধার কার্ডও হাতে পেয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকেও তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে, জাল আধার কার্ড চক্রের অন্যতম পাণ্ডা রূপক মণ্ডলকে এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রূপক সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বারাসত থানার পুলিশ। জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে সমীরের সাগরেদ রূপক মন্ডল। রূপককে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সুব্রত বিশ্বাস ও তমাল হালদার নাম। তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। সমীরের তৈরি জাল আধারকার্ড সঙ্গে নিয়ে বারাসতের নবপল্লীতে বসবাস করছিল জনৈক বাংলাদেশ নাগরিক শিখা দাস ও তার মেয়ে শর্মি দাস। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।