রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর ছবি ঘিরে আগেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার তাতে হাইকোর্টের শিলমোহর প🍬ড়ল। কলকাতা হাইকোর্ট কার্যত জানিয়ে দিল শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের সেই নির্মাণ বেআইনি। জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শাসকদল তৃণমূলের ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে এক সংগঠনের কার্যালয় তৈরি হয়েছিল। সেখানে দলীয় পতাকা-সহ নানা সরঞ্জাম রাখা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট আজ নির্দেশ দিয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।
এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিশিষ্ট শিক♔্ষাবিদ তথা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র সরকার। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় থাকতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ছাত্র সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল এক নয়। ছাত্র সংগঠন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়ে কাজ করে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ এক হওয়া ঠিক নয়। তার একটা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীর ছবি থাকবে এটা কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়।"
তিনি আরও বলেন, "অনেক সময় কার্ল মার্ক্স, লেনিনের ছবি ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়ে থাকꦰে-- তাঁদের ছবি আদর্শের দিক থেকে একটা উৎস হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু তাও রাখা উচিৎ নয় 🍌বলে আমি মনে করি। ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংক্রান্ত জিনিসপত্র থাকবে। কাজেই হাইকোর্ট সংগত নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ পালন করাই সবার উচিৎ।"
শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, "রাজ্যে এখন🅘 রাজ্য সরকার নেই, আছে দলীয় সরকার। আছে শাসকদল এবং দলনেত্রী। তিনিই সবকিছু ঠিক করেন। তিনি সর্বত্র দলীয় পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। শিক্ষাক্ষেত্রকেও ছাড় দেননি। রবীন্দ্রভারতীর বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ খুবই স্বস্তির। তবু আমি বলব-- সব ব্যাপারে হাইকোর্টকে কেন মধ্যস্থতা করতে হবে? রাজ্যবাসীর কাছে এটা বিবেচনার বিষয়। সবাই যেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।"