♔শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন প্রাক্তন আমলা তথা পদত্যাগী তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারꦍ। শনিবার সংবাদমাধ্যমে সোজা সাপটা তিনি বলেন, এরা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৫০ বছরে এরকম দুর্নীতি আমি দেখিনি।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেন জহর সরকার। এর পর বার বার প্রকাশ্যে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জেরে হারানো চাকরি ফেরানোর দাবিতে যখন প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে বিধাননগরের বিকা♔শ ভবনের সামনে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা তখন নিয়োগ দুর্নীতি নꩲিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন তিনি।
এদিন জহর সরকার বলেন, ‘একটা সমাধান তো খুঁজে বার করতে হবে। ২৬ হাজার শিক্ষকের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। ২০১৬ সালে এই পরীক্ষা হয়েছিল। অর্থাৎ ১০ বছর হতে চলল। এই ১০ বছরের মধ্যে কোনও সমাধান করা গেল না? আমি তো বিকাশ ভবনে সচিব হিসাবে কাজ করেছি। এই ধরণের কথা আমরা কোনও দিন শুনিনি। এই মাত্রায় দুর্নীতি, লাল টাকার পাহাড় আমরা কোনও দিন দেখিনি। আমার মনে হয় মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমি ৫০ বছর আগে চাকরিতে ঢুকেছি। আ❀মি ৫০ বছরে এরকম দেখিনি।’
এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সরব হয়েছেন জহর সরকার। এমনকী তাঁর অনুমতি না নিয়েই তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। জহরবাবু বলেছিলেন, ‘আমি এই দলের সদস্য হিসাবে চাঁদা দিয়ে কোনও দিন ঢুকিনি। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী ও দলনেত্রী নিজে ফোন করে আসতে বলেছিলেন। আমি একটু ইতস্তত করছিলাম। যতক্ষণ ইতস্তত করছিলাম ততক্ষণে শুনলাম রেডিয়োতে - টিভিতে জানিয়ে দিয়ಌেছে। টিভি - রেডিয়োতে জানানোর পরে আমি যদি গিয়ে বলি না আমি যাব না হয় লোকে বলবে ন্যাকা, না হলে বলবে নিউজ় চাইছে, নাহলে অন্য কোনও মতলব আছে। আর সরাসরি ঝগড়া করতে চাইছে।’