বাংলার রাজনীতি তোলপাড় করে এবার এক নয়া ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে ন꧑ি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ভিডিয়োয় তাঁর অভিযোগ তোলাবাজি ঘিরে। এই তোলাবাজির অভিযোগ, কলকাত♉ার ১২৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের বিরুদ্ধে।
ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘কলকাতা পুরসভার আরও এক "স্কোয়ার ফুট (square foot) কাউন্সিলর" কে চিনে রাখুন।’ এরপরই সেই ভিডিয়ো নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে𝓀 টিভি৯ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেঁদে ফেলেন ছন্দা সরকার। দাবি করেন, ওই ভিডিয়ো পুরনো। তিনি কাউন্সিলর হওয়ার ৭-৮ মাসের মধ্যে সেই ভিডিয়ো হয়।
যে ভিডিয়ো শুভেন্দু অধিকারী পোস্ট করেছেন, সেখানে লেখা রয়েছে, ‘কলকাতা পুরসভার ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমতি ছন্দা সরকার'। এরপর ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, চায়ের আসর। এক টেবিলে রাখা রয়েছে চায়েরর কাপ। সেখানে কথা হচ্ছে,' ৮০ টাকা স্কোয়ার ফুট' নিয়ে। ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে ছন্দা সরকার বলছেন,' আমাকে ১ লাখ দিলেই হবে।' শুভেন্দু অধিকারী এই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন,'তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান !!!দুর্নীতি এবং এদের নেতা নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসꦐভার আরও এক "স্কোয়ার ফুট (square foot) কাউন্সিলর" কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর; শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সাথে রফা করছেন।'
এই অভিযোগ ঘিরে বিস্ফোরকভাবে মুখ খুলেছেন ছন্দা সরকার।তিনি বলেন, এই ৮০ টাকা স্কোয়ার ফিট বা ১০০ টাকা স্কোয়ার ফিট তিনি জানেন না। আবেগঘন ছন্দা সরকার , কেঁদে ফেলে বলেন, ‘ বিশ্বাস করুন, আমি কোনও একটা প্রোগ্রাম করতে গেলে পেনশনের টাকা তুলে করি। আমার পেনশনের টাকা যেটা জমে, ২-৩ মাসে সেটা তুলে করি।’ এরইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি কোনও দিন কারোর টাকা হাতে নিইনি।' এখানেই শেষ নয়, জনৈক তিলক ভট্টাচার্যের নাম আসে ছন্দা সরকারের বক্তব্যে। ছন্দা সরকার দাবি করেন, এই ভিডিয়ো অনেক পুরনো। তꦐিনি বলেন , ‘আজ যা রটেছে, যারা করেছে, আমি কাউন্সিলর হওয়ার পর পর, ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে।’
তিলক ভট্টাচার্যের প্রসঙ💯্গ তুলে ছন্দা সরকার বলেন, ‘আমি বুঝিনি ওরা এসব করতে পারে। কিন্তু তিলক আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল… তিলক ভট্টাচার্য আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিল… যে ওরা এটা এমন এমন করেছে। তখন আমি বলি…তাই আমি তো বুঝতেই পারিনি।’ ছন্দা সরকার বলছেন,' আমি তো কোনও টাকাই নিইনি। ও টাকা নিয়েছে। তিলক আমাদের দলেরই ছেলে। বাচ্চু যখন ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল, তখন সে সময়ে তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট ছিল তিলক। এখন বাচ্চু ১২৬-এ রয়েছে।' ছন্দা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘আজ ওরাই আমাদের পিছন থেকে ছুরি মারছে।’ প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন এমনটা বলছেন তিনি? ছন্দা বলছেন,'কারণ আমি ওঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়েছি তাই। '