নির্বাচনী আবহে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। দৈনিক ১০ হাজার জন নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের ইস্যুকে ঘিরে রাজৈনতিক আবহাওয়া গরম হচ্ছে। এরই মাঝে আজ টিকার দাম নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সকালেই টুইট করে টিকার দামের বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মমতা লেখেন, 'আমি দুঃখিত, কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রের নীতি গরিব মানুষ বিরোধী এবং এটি বৈষম্যমূলক। সাধারণ মানুষের স্বার্থের থেকে বেশি এই নীতি ব্যবসার কথা ভেবে নির্ধারণ করা।'এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মমতা লেখেন, 'টিকা কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের দাম কেন আলাদা হবে? উত্পাদনকারীদের থেকে কেন্দ্র ১৫০ টাকায় টিকা কিনছে, অন্যদিকে রাজ্যকে সেটা কিনতে হবে ৪০০ টাকা দিয়ে। কেন রাজ্যগুলিকে ১৬৭ শতাংশ বেশি দিতে হবে? এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি এবং গরিব বিরোধী। এটা তরুণদের বিরোধী। ভারতের ইতিহাসে এরমটা এর আগে কখনও হয়নি।'মমতা আরও লেখেন, 'এই গম্ভীর পরিস্থিতিতে টিকা প্রস্তুতকারকদের ব্যবসা করার সময় নয়। এই সময়ে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ জন সাধারণের বৃহত্তর মঙ্গলের স্বার্থে নেওয়া উচিত। এছাড়া হাসপাতালের জন্য টিকার দাম ৬০০ টাকা রাখা হলে তা বৈষম্যমূলক হবে। আমার মনে হয় প্রতিটি ভারতীয়কে এই টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হোক। য়স, ধর্ম, বর্ণ, অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেক ভারতীয়ের বিনামূল্যে টিকা প্রয়োজন। কেন্দ্র দিক বা রাজ্য, ভারত সরকারের উচিত কোভিড টিকার দাম এক রাখা। আমি দ্রুত এই ইস্যুতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।'এদিকে তপনে এদিন রাজনৈতিক জনসভা থেকে মমতা বলেন, 'নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ৫ মে থেকে সার্বিক টিকাকরণ শুরু করব আমরা। ১৮ বছরের উপরে যে চাইবে, সেই পাবে। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সরকার থেকে আমরা প্রতিষেধক কিনে দেব।'