কল্যাণীতে তৈরি হবে বিশ্বমানের খেলনা। রীতিমতো সেখানে 'টয় পার্ক' গড়ে তুলবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেখানে ক্ষুদ্র শিল্প তালুক গড়ে তুলবে রাজ্যের ক্ষুꦉদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম।
হালের খেলনা মানেই তা 'মেড ইন চায়না'। মোদী সরকারের প্রচেষ্টায় সে💮ই প্রবণতা সামান্য কমেছে। কিন্তু চিনা খেলনার বিকল্প-ই বা কী? প্রশ্ন বিক্রেতাদের। সেই সমস্যারই মোকাবিলা করতে এই উদ্যোগ।
এমনিতেই করোনার কারণেও চিন থেকে খেলনার আমদানি কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে সেই চাহিদা পূরণের উদ্দেশে দেশেই অনেক নতুন খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থা এসেছে। তাছাড়া সময়ের সঙ্গে বেড়েছে সচেতনতা। এখনকার মা-বাবারা সন্তানের জন্য পরিবেশ সচেতন, নিরাপদ, রাসায়নিক-মুক্ত খেলনা চাইছেন। আর সেই শূন্যস্থান ভরাতে দেশে বাড়ছে খেলনা উত্পাদন। আরও পড়ুন: চলতি মরশুমে ৪০ হ𝓀াজার বিয়ের সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা ও শহরতলি
'খেলনা-ও শিল্প?'
এক্ষেত্রে খেলনাকে শিল্প হিসাবে হেয় করার কোনও কারণই নেই। কারণ, ভারতে খেলনা শিল্পের বাজার প্রায় ২০ 🍃হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই তা ৫০০-৭০০ কোটি ট🎃াকার। আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই বাজার আরও বাড়বে আগামিদিনে। তাছাড়া শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়। দেশের বাইরেও রফতানি করে ভারত। এর আগে বিশ্ববাজারের মাত্র ০.১% ভাগ ছিল ভারতের। তবে ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণে তা বেড়ে ৩%-এ দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দু’দিনের খেলনা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বণিকসভা ভারত চেম্বার এবং অল টয়েজ়-এর যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার সেখানে যোগ দেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই টয় ইন্ডাস্ট্রি এমন, পুরো ভারতের যে চাহিদা তা পূরণ করত চিন। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই যে চিন থেকে আমদানির পলিসির রয়েছে তার উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। ১২ লাখ কোটি টাকার যদি ব্যবসা করতে হয়, তাহলে এখানে আমাদেরকে ইন্ডাস্ট্রি বানাতে হবে। আমার মতে দেশের পূর্ব অংশের যে উন্নয়ন… তা অনেক উপরে যাবে।' আরও পড়ুন: ‘শিল্পের দিক থেকে 👍কিছুটা পিছিয়🅷ে,’ বামেদের দুষে বললেন ফিরহাদ হাকিম
রাজ্যের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে এই বিষয়ের রাজ্যের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খড়গপুরের কাছে নিগমের খাসজঙ্গল শিল্প তালুকে ১২ একরের টয় পার্ক তৈরি করা হবে। এর জন্য ছ’টি সংস্থার জমি প্রদানের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সংস্থাগ♑ুলির উত্পাদনে সহায়তার জন্য একটি ‘কমন ফেসিলিটি সেন্টার’ও গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে সংস্থাগুলি খꦚেলনা তৈরির পরিকাঠামো, যন্ত্রাদি পাবে।
তবে খেলনা সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা কলকাতার নিকটস্থ এমন খেলনা পার্কের আর্জি জানান। তারই প্রেক্ষিতে কল্যাণীতে দু’লক্ষ বর্গ ফুটের চারতলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর জন্য স্থান চিহ্নিত হয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যেই এ💮টি বাস্তবায়িত হবে।