CBSE বোর্ডের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল এবং সারাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজগুলির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার তারিখ বাড়ানো নিয়ে দেশজুড়ে যে দাবি উঠেছে সেই ব্যাপারে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সংশোধিত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক গত মাসে ঘোষণা করেছিল যে বাকি থাকা CBSE দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ১ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (JEE) মেইন ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এবং ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট (NEET) ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।মন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে , অভ্যন্তরীণ আলোচনার পরে আবার এই পরীক্ষার পদ্ধতি ও তারিখ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাথে আলোচনা শুরু হয়েছে।একজন কর্মকর্তা বলেন, অনেক রাজ্য মোটেই বোর্ড পরীক্ষা আয়োজন করার পক্ষে নয় এবং পরামর্শ দিয়েছে, যে বিষয়গুলির পরীক্ষার হয়ে গেছে সেগুলির গড় নম্বরের ভিত্তিতে এবং স্কুলগুলির আগের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হোক। কোভিড -১৯ এর মধ্যে পরীক্ষার কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের আনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে।তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ও মনে করে যে বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং সোমবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।আধিকারিক আরও জানান, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন এবং একই বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সাথে আরেকটি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে ।মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং ওড়িশা এর আগেই কেন্দ্রকে বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বলেছিল এবং সুপ্রিম কোর্টও CBSE আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।NEET ও JEE (মেইন) পরীক্ষাগুলি লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর চিকিত্সা ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কেরিয়ার গড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।তাই এক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল করা সম্ভব নয়। পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ঝুঁকি কমিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই প্রশ্নই এখন আলোচনার বিষয়।একটি প্রস্তাব উঠে এসেছে যে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভিড় এড়াতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে NEET পরিচালনা করা হোক।তবে কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয় এবং পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে সে ব্যাপারে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।