বিরাট বড় অনুদান পেয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ। এই প্রথম ২২৮ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে দেশের বিখ্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অনুদান দিয়েছেন আইআইটি-এরই এক প্রাক্তন ছাত্র, যিনি আজ ভারতের বিরাট বড় কোম্পানির মালিক। এই ছাত্রের নাম ডাঃ কৃষ্ণা চিভুকুলা। ডাঃ কৃষ্ণা আইআইটি মাদ্রাজ থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাস করেছেন। ১৯৭০ সালে পাস আউট তিনি। আর আজ ডাঃ কৃষ্ণ🐟া চিভুকুলা, ইন্দো এমআইএম টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক।
ডঃ কৃষ্ণা এই অনুদান কোন কাজে ব্যয় করা হবে
ডঃ কৃষ্ণা চিভুকুলা আইআইটি মাদ্রাজকে যে ২২৮ কোটি টাকা দান কর▨েছেন, তা বি.টেক ছাত্র, ক্রীড়াবিদ, বিদেশী ছাত্র, ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ফেলোশিপ প্রদানের জন্য ব্যয় করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে কলেজের পত্রিকা 'শাস্ত্র' প্রকাশেও এই অর্থ ব্যয় করা হবে, যা সাম্পꦺ্রতিক আবিষ্কার এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আপডেটগুলি কভার করে, এটি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার কলেজের একটি অ্যাকাডেমিক ব্লকের নামকরণ করা হয়েছে কৃষ্ণার নামে। কলেজের তরফে জানানো হয়েছে ডক্টর কৃষ্ণা চিভুকুলা রি ফেলো প্রোগ্রাম চালু করবেন। এ প্রসঙ্গে আইআইটি মাদ্রাজ ডিরেক্টর কামাকোটি বলেছেন, আমরা কৃষ্ণা চিভুকুলা স্পোর্টস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের অধীনে খেলোয়াড়দের সমর্থন করব। তহবিল আফ্রিকান দেশ এবং সার্ক দেশগুলি সহ উন্নয়নশীল দেশগুলির শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্যও ব্যবহার করা হবে।
ডাঃ কৃষ্ণা চিভুকুলা সম্পর্কে বিস্তারিত
ডাঃ চিভু♊কুলা বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন। একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী তিনি। ডক্টর কৃষ্ণা প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন ♍তেলুগু মিডিয়াম স্কুল থেকে। তিনি আইআইটি মাদ্রাজ থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমটেক করেছেন। এরপর তিনি আরও পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় যান। ডাঃ কৃষ্ণা ১৯৮০ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর ব্যবসা শুরু করার আগে, ডঃ কৃষ্ণা নিউ ইয়র্কের হফম্যান গ্রুপ অফ কোম্পানিতে সিইও এবং গ্রুপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।
এরপর ১৯৯০ সালে, ডাঃ কৃষ্ণা নিউ ইয়র্কের🔯 সিরাকিউসে শিবা টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেড এবং বেঙ্গালুরুতে নিজের ইন্দো- এমআইএম কোম্🅘পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানিটি এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। কামাকোটি বলেছেন, দেশের বেশিরভাগ বিমানে কৃষ্ণ চিভুকুলার কোম্পানির তৈরি ধাতু লাগানো হয়।
আইআইটি মাদ্রাজ প্রথম এতটা ব🍌ড় অনুদান পেলেও, ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সা🐷য়েন্স ২০২২ সালে, আরও অনেক বেশি পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। সেই বছর দুই দম্পতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোরকে ৪২৫ কোটি টাকা দান করেছিলেন। তাঁদের নাম, রাধা এবং এনএস পার্থসারথি আর সুস্মিতা এবং সুব্রত বাগচী। আইআইএসসি ক্যাম্পাসে একটি পিজি মেডিকেল স্কুল এবং ৪০০ বেড সহ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল খোলার জন্য এই অনুদান দিয়েছিলেন তাঁরা।