মঙ্গলবার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু, এখনও বহু আসন ফাঁকা রয়েছে। ক্লাস শুরু হওয়ার পরেও পড়ুয়াদের বিশেষ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। খুব কম♛ সংখ্যক পড়ুয়া ক্লাসে আসছে। এরই মধ্যে আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে বিটেক কোর্স নিয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া দেরিতে হওয়ার ফলে বিটেক কোর্স শেষ হতে অতিরিক্ত এক বছর সময় লেগে যেতে পারে।🌼 মূলত ল্যাটারাল এন্ট্রির ফলেই কোর্স শেষ করতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: কবে শুরু 🔥স্নাতকোত্তরের ক্লাস? দুশ্চিন্তায় কলকাতা বি༺শ্ববিদ্যালয়
সাধারণত 🤡বিএসসি অনার্স কোর্সের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ল্যাটারাল এন্ট্রি হিসেবে বিটেকে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে এবছর সেই প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে। সেই কারণে কোর্স শেষ করতে অতিরিক্ত এক বছর সময় লেগে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শিক্ষকদের মতে, বিটেকের ৯ টি বিষয়ে প্রায় একশোর মত আসন রয়েছে। সেখানে যারা উচ্চমাধ্যমিকের পর বিটেকে ভর্তি হয়েছিলেন তারা ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তবে ল্যাটারাল এন্ট্রিতে ভর্তি হওয়া পড়🐼ুয়ারা সিলেবাসের দিক দিয়ে ৫০ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে তাদের থেকে। ফলে সেই ফাঁক পূরণ করতে গেলে বাড়তি সময় লাগাটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আরও এক বছর অতিরিক্ত সময় লেগে যেতে পারে বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, কোভিডের আগে অগস্টের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতো এবং সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যেত। কিন্তু, এবার ইঞ্জিনিয়ারে ল্যাটারাল এন্ট্রিতে ভর্তি শেষ হয়েছে অক্টোবরে। অর্থাৎ এক মাস অতিরিক্ত সময় লেগেছে। শিক্ষকদের বক্তব্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়েছে। তার জন্য মূলত এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় পড়ুয়াদের মধ্যে স্নাতকোত্তরে পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি শিক্ষকদের। এর জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে বর্তমানে পড়ুয়ারা স্নাতক করার পরেই চাকরির খোঁজ করা শুরু করে দিচ্ছেন। কেউ আবার টেকনিক্যাল কোর্স করছেন আবার কেউ সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা শুরু করে দিচ্ছেন। যার ফলে ভর্তির সং🥃খ্যা কমছে। ফলে এই সমস্যার সমাধানে শিক্ষকের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলোচনা করা উচিত বলে দাবি করেছেন শিক্ষকদের একাংশ।