আমনদীপ শুক্লা
পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য আপত্তি জানিয়েছে। তারপরও চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষা পক্ষেই মত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রক। কর্তাদের মতে, নিয়ম ঠিক করার কাজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এবং তা মেনে চলবে শিক্ষা প্ꦰরতিষ্ঠানগুলি।
এক সরকারি আধিকারিক জানান, ইউজিসি আইন অনুযায়ী শিক্ষাগত মান বজায় রাখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপরই বর্তায় বলে মত কেন্দ্রের। তিনি বলেন, ‘জাতীয় গুরুত্বের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ইউজিসির নিয়ম এবং নীতি মেনে চলে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্নভাবে সেইসব প্রতিষ্ঠানগুলিকে সহায়তা করে ইউজিসি। বিস্তারিত আলোচনার পর একট꧟ি কমিটির (সুপারিশের ভিত্তিতে) পরীক্ষা সংক্🍌রান্ত যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে, তা সবাইকে মেনে চলতে হবে।’
হরিয়ানা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর সি কুহাদের নেতৃত্বাধীন শিক্ষাবিদদের সেই কমিটি আগেই চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার স🉐ুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশে অনুমোদন দেয় ইউজিসি। বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ও𓆉 বেধে দেওয়া হয়। অনলাইন, অফলাইন বা উভয় মাধ্যমেই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার ছাড়পত্র মেলে। যে পড়ুয়ারা সেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না, পরে পরিস্থিতি অনুকূল হলে তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। দিনকয়েক পর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করে ইউজিসি।
যদিও সেই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বাধ্যতামূলক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে পঞ্জাব, ওড়িশার মতো রাজ্য। দিল্লি সরকারের অধীনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ཧপরীক্ষা তো আবার বাতিলও করে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের ওই আধিকারিক বলেন, ‘দীর্ঘকালীন সময়ে পড়ুয়াদের স্বার্থ এবং ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায়ের বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুহাদ কমিটি। অধিকাংশ পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়ে🅰ছে। শুধুমাত্র চূড়ান্ত টার্মের পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে হবে। এমনকী অনলাইন ব꧙া মিশ্রিত উপায়েও পরীক্ষা নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি আইনি এবং অন্যান্য নিয়মকানুন অনুযায়ী শিক্ষার মান বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে ইউজিসির উপর। যে রাজ্যগুলি বিরোধিতা করছে, সেগুলি নিজেদের মত পুনর্বিবেচনা করে দেখুক।’
তাহলে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউজিসির নির্দেশিকা মানবে না, সেগুলির বিরুদ্ধে কি ব্য়বস্থা নেওয়া হবে? তার জবাবে ওই আধিকারিক জানান, সেটা মোটেও উদ্দেশ্য নয় এবং♑ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র মিলবে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওই আধিকারিক।