চলতি 🧸বছরে ক্যাম্পাসে কাগজে-কলমের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা প্রকোপের জেরে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না, সে কথা আগেই বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর UGC-র নির্দেশের জেরে নানা জল্পনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আগের অবস্থানে ফিরল বিশ্ববিদ্যালয়।
স্নাতক-স্নাতকোত্তর কোর্সের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসে বই দেখে পরীক্ষা (Open Book Exam) দেবেন। বিদেশে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সোমবার যাদবপুরে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ই মেল বা হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে 🦂দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসেই উত্তর লিখে তা কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে পাঠিয়ে দেবেন। কোনও পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর বাড়িতে প্রশ্ন পাঠাবে। নির্দিষ্ট সেই পড়ুয়ার কাছ থেকে উত্তরপত্র জোগাড় করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনা র মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। দেশের শীর্ষ আ🃏দালতও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। বলা হয় কোনও রাজ্য মনে করলে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের পরেও পরীক্ষা নিতে পারবে।
এর পরই রাজ্য সরকার ঘোষণা করে ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফল ঘোষণা হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। সেইমত ব꧒িশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষা পদ্ধতি স্থির করছে।
যাদবপুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি মাসে ল্যাবরেটরি এবং সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। ইউজিসি-র (UGC) সম্মতি না আসা পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হব﷽ে না।