করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যে পড়ুয়ারা সিএ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, তাঁদের সবাইকে ‘অপট-আউট’হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে পরীক্ষার শেষদিন পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের ‘অপট-আউট’-এর সুযোগ দেওয়๊ার বিষয়টি ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অফ ইন্ডিয়াকে (আইসিএআই) বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার আইসিএআইয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের মনে নিশ্চয়তা তৈরি করতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ‘অপট আউট’-এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ ৩০ জুন ছিল সেই সুযোগ নেওয়ার শেষদিন। আইসিএআইয়ের আইনজীবী রামজি শ্রীনিবাসন জানান, জুলাই-অগস্টে (আগামী ২৯ জুলাই থেকে ১৬ অগস্ট) যে পরীক্ষা হওয়ার কথা, তাতে ৫৩,০০০ জন পরীক্ষার্থী ইতিমধ্যে ‘অপট আউট’ অপশন বেছে🌊 নিয়েছেন।
বিচারপতি এ এম খানউইলকরের ꦚনেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ অবশ্য জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ পরিবর্তনশীল। কনটেনমেন্ট জোনও ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। শীর্ষ🌄 আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যদি কোনও পরীক্ষার্থী অপট আউট অপশন না নেন, কিন্তু হঠাৎ করে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এসে গিয়েছেন, তাহলে কী করবেন? যে পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসবেন না, তাঁদেরও অপট আউট কেস হিসেবে বিবেচনা করুন।’
বিচারপতি খানউইলকর বলেন, 'যে পড়ুয়ারা অপট আউট করেননি, কিন্তু🥂 কোনও জরুরি কারণে পরীক্ষা দিতে পার𒐪ছেন না। তাঁদেরও একই সুবিধা দিন, যাঁরা অপট আউটের অপশন বেছে নিয়েছেন।'
'অপট আউট' প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করꦆে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন ইন্ডিয়া🌠 ওয়াইড পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনুভা শ্রীবাস্তব সহায়। করোনা পরিস্থিতিতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার শুনানির সময় আইনজীবী শ্রীনিবাসনকে শীর্ষ আ🐲দালত জানায়, আইসিএআই একটি পেশাদারি সংস্থা এবং নিজের পড়ুয়াদের দেখভাল করতে হবে। তিন সদস্যের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার ধাঁচ নিয়ে অনড় থাকলে হবে না, নমনীয় হতে হবে। একইসঙ্গে শেষ পরীক্ষা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইসিএআই-কে একটি নয়া নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত এবং আগামী ২ জুলাই মামলাটির আবার শুনানি হবে।