কর্মীদের 'মুনলাইটিং' নিয়ে সাবধান করে দিল ইনফোসিস। কর্মীদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আইটি সংস্থা। তাতে তারা জানিয়েছে, এꦺই ধরনের কার্যকলাপ ধরা পড়লে চাকরিও যেতে পারে। ইনফোসিস সূত্রে খবর, এমনিতেই কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় কোনও কাজ করার অনুমতি নেই।
মুনলাইটিং কী?
ধরুন একটি স্থায়ী চাকরি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনি অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির হয়ে অস্থায়ী আরও🎃 একটি কাজ নিলেন। সেটার মাধ্যমে চাকরির বাইরেও বাড়তি উপার্জন করছেন। সেটাকেই কর্পোরেট ভাষায় মুনলাইটিং বলে। মূলত আইটি সেক্টরে এই অভ্যাস বেশ বিদ্যমান। অন্য কোনও স⛄ংস্থার জন্য 'ফ্রিল্যান্স' হিসাবে কোডিংয়ের কাজ করে থাকেন অনেক আইটি কর্মী। সপ্তাহান্তে বা শিফটের বাইরে সেই কাজ করেন তাঁরা।
সেটি নিয়ে মোটেও খুশি নয় বেশ কিছু ভℱারতীয় সংস্থা। তাদের কর্মীদের আচরণবিধির বিরুদ্ধ এটি। আর সেই নিয়ে সম্প্রতি নড়েচড়ে বসেছে আইটি সেক্টর।
ভারতে মুনলাইটিং করা বেআইনি?
ভারতে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚকোনও ব্যক্তি চাইলেই আরও একটি চাকরি নিতে পারেন। তাতে আইন ভঙ্গ হবেಌ না। কিন্তু দুই চাকরিতেই একই ধরনের কাজ করলে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি থাকতে পারে। সেই কারণে বেশিরভাগ সংস্থাই কর্মচারী চুক্তিতে একক কর্মসংস্থানের ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। তাতে সই করে চাকরি নেন কর্মীরা। ফলে এরপরেও কেউ যদি দ্বিতীয় কাজ করতে শুরু করেন, সেটি আইনত প্রকারণা হিসাবে ধার্য করা হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কারখানা আইন অনুযায়ী দ্বৈত কর্মসংস্থান নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু কিছু রাজ্যে, আইটি সংস্থাগুলিকে সেই নিয়ম থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাকরি নেওয়ার আগে করꦍ্মীদের অবশ্যই তাঁদের মূল চাকরির চুক্তি পরীক্ষা করা উচিত।
আইটি সেক্টর মুনলাইটিং নিয়ে কী ভাবছে?
নৈতিকতার দিক দিয়ে এই বিষয়ে ভারতের আইটি সেক্টর বিভক্ত। উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্🌠রেমজি এটি 'প্রতারণা'💝 বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর কথায়, 'প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীদের মুনলাইটি🤪ং নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।🃏 সহজ এবং সরল কথায়, এটি প্রতারণা।'
ইনফোসিসের প্রাক্তন ডিরেক্টর মোহনদাস পাইয়ের মতে, প্রযুক্তি শিল্পে এন্ট্রি-লেভেলে কম বেতন দিলেই এই প্রবণতা বাড়ে। তিনি বলেন, 'যদি কর্মীদের ভাল বেতন না দেন, 🍸তাহলে তাঁরা আরও টাকা উপার্জনের চেষ্টা করেন। আর এখন প্রযুক্তির কারণে ভা🌜ল উপার্জনের অনেক সহজ উপায় রয়েছে। ডলারে আরও অনেক আয় করা যায়। ফলে এটি কর্মীদের কাছে বেশ লোভনীয়।
টেক মাহিন্দ্রার সিইও সিপি গুরনামꦓি অবশ্য ভিন্নমত 🍌পোষণ করেন। সম্প্রতি এক টুইটে তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন করা প্রয়োজন। কাজের ধরনে যে কোনও পরিবর্তনকেই আমি সবসময়ে স্বাগত জানাই।
একেবারে উল্টো পথে হেঁটেছে ফুডও ডেলিভারি স্টার্ট আপ সুইগিও। কর্মীদের মুনলাইটিং করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে তারা। সংস্থার মতে, কোনও কর্মী যদি তাঁদের মূল চাকরিতে কাজ অব্যাহত রেখেই, শিফটের বাইরে বা ছুটির দিনে অন্য কোনও কাজ করে আয় করেন, তাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কেউ তাঁর নিজের, পরিবারের আর্থিক স্বার্থে এমনটা করতেই পারেন।
মুনলাইটিং করার বিষয়ে আপনার কী মত?