করোনা কালে চাকরি টিকিয়ে রাখা নিয়ে যখন আম জনতা আতঙ্কে রয়েছেন তখন একদিনে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বদলির নিয়োগপত্রে পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না স্বাক্ষর করেছেন বলেই꧑ পর্ষদ সূত্রের খবর।
এর ফলে খানিকটা স্বস্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। যদিও নিয়োগꦇপত্র পাওয়ার পর ঠিক কবে থেকে চাকরিতে যোগ দেবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়নি পর্ষদের তরফে।
স্কুলশিক্ষা দফরের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, স্কুল না খুললে বদলির নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না। শুধু তাই নয় যে স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলি হচ্ছেন এবং যে স্কুলে যোগ দেবেন উভয় স্কুলেই মধ্যশিক্ষা♉ পর্ষদের নিয়োগপত্র পাঠান𒁏ো দরকার। স্কুল না খুললে সেই নিয়োগপত্র পেলেও আপাতত প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিশেষ কারণে বদলি বা ট্রান্সফার অন স্পেশাল গ্রাউন্ড-এর মাধ্যমে বদলির প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। অবশেষে তা ফের শুরু করল রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশের চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো হলেও পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে পড়ে। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মা𓆉ন্না আসার পর পরেই বদলি প্রক্রিয়া আবার শুরু হল।
গত সপ্তাহে প্র🎀ায় ৪৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষকের বদলির নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না। ইতিমধ্যেই ই মেল মারফত প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানো হয়েছে। জেলার স্কুল পরিদর্শকদের এই বিষয়ে পর্ষদের তরফে ই মেল পাঠানো হয়েছে।
যদিও এই বদলির নির্দেশিকা জারির পর পরেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ শ🔯িক্ষক সংগঠনꦗ বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছে।
শুধু তাই নয়, কলকাতায় ছাত্র-ছাত্রী অনেক হলেও বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জেলা থেকে এই শহরেই বদলি করে আনা হয়েছে বলেও অভ🧜িযোগ তুলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। কলকাতায় ২৫ থেকে ৩০ জন প্রধান শিক্ষক বদলি হয൲়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে, দাবি একাধিক শিক্ষক সংগঠনের। বদলি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হলেও অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়ির কাছাকাছি স্কুল পাননি বলেও অভিযোগ।