দেশ জুড়ে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু হওয়ার পর এই বছরই প্রথম সেই অর্থে শিক্ষাবর্ষে আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাগুলির ভার খানিকটা লাঘব করতে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী দিনে বছরের দু’বার পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বোর্ডের ক্ষেত্রে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে যা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ বিষয়ে বলেন, ‘চলতি বছরের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে ছয়টি শ্রেণিতে নয়া পাঠক্রম চালু করা হবে এবং ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে বছরে দু’বার করে বোর্ডের পরীক্ষা হবে।’ পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিষয় বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হবে বলে জানিয়♕েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দুটি বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দেব। কেউ চাইলে একেবারে বোর্ডের যাবতীয় পরীক্ষা দিতে পারে। কিন্তু দুটি ধাপেও পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে এই নতুন ব্যবস্থায়৷’ এর ফলে পড়ুয়ারা বছরে দু’বার পরীক্ষায় বসতে পারবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সদস্য জানান। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা বয়সে♌র পড়ুয়াদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে সরকারের এই নয়া নীতি নিয়ে। তারা খুশি বলেই মনে করছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, ‘এটা অবশ্যই পড়ুয়াদের ওপর বোর্ড পরীক্ষার চাপ কমাবে। চলতি বছরেই এই ফরম্যাট আমরা তৈরি করে ফেলব, অভিভাবকদেরও জানান হবে।’
প্রসঙ্গত, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ইসরো’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তরফেই বছরে দু’বার পরীক্ষায় বಌিষয়টি সুপারিশ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় মহাকাশ বিজ্ঞানকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে মত বিশেষ সূত্রে। প্রতিটি ক্লাসের পাঠক্রম পরিবর্তন হলেও এবছর নতুন বই পাবে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। অন্যদিকে এর পরের শিক্ষাবর্ষে সপ্তম, দশম এবং দ্বাদশ-এর ছাত্রছাত্রীরা নতুন বইয়ের স্বাদ পাবে। এখন দেখার নতুন পাঠক্রম এবং বছরের দু’বারের এই বোর্ড পরীক্ষা পদ্ধতিতে কতটা মানিয়ে নিতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা।